![](https://www.indiaherald.com/cdn-cgi/image/width=750/imagestore/images/business/technology_videos/international-investment-address-now-bangla--mamata-banerjee-called-for-industrialist-e0292e2a-d2b2-46ce-9d01-a6bdefc04104-415x250.jpg)
মুখ্যমন্ত্রী দেশ-বিদেশের সব শিল্পপতিদের কাছে আবেদন জানালেন বাংলায় বিনিয়োগ করার জন্য । আজ বৃহস্পতিবার থেকে দিঘায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘ বেঙ্গল বিজনেস কনক্লেভ । এই মঞ্চ থেকে তিনি আহ্বান জানালেন , ‘বাংলায় বৈষম্য নেই, বিভেদ নেই’, তা্ই বিনিয়োগের জন্য বাংলাই ‘সেরা ঠিকানা’ বলে মমতা দাবি করেন । তিনি বলেন , ‘‘বাংলা এখন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের সেরা ঠিকানা। এখানে কোনও বিভেদ নেই, বৈষম্য নেই। সব ধর্ম, বর্ণের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করেন’’। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ঘিরে যখন উত্তাল গোটা দেশ, সেই আবহে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে মমতার এহেন বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
সৈকত শহর দিঘায় ২ দিনের ‘বেঙ্গল বিজনেস কনক্লেভে’র উদ্বোধন করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলা এখন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের সেরা ঠিকানা। বাংলায় বিনিয়োগ করুন। সাধ্যমতো সবরকম সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত’’। এরপরই মমতা বলেন, ‘‘বাংলায় কোনও বিভেদ নেই, কোনও বৈষম্য নেই। বাংলায় সব ধর্ম, বর্ণের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করেন’’।
অন্যদিকে, বামেদের দুষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘‘৩৪ বছরের বাম জমানায় পরিস্থিতি অনেক খারাপ ছিল। আমরা সরকারে আসার পর দিঘার উন্নয়নে জোর দিয়েছি। ৭-৮ বছর আগের দিঘা এখন অনেক বদলে গিয়েছে। আপনারা দিঘায় আসুন। দিঘা কলকাতার কাছেই বলা যায়। রেল, সড়ক পথে যাতায়াত করা যায়। জলপথেও যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই তাজপুর বন্দর চালু করা হবে’’।
উল্লেখ্য, নিউ দিঘার নবনির্মিত কনভেনশন সেন্টার ‘দীঘাশ্রী’তে এই বাণিজ্য সম্মেলনের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দেশ-বিদেশের অতিথিরা যোগ দিয়েছেন এই সম্মেলনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এদিন ‘বেঙ্গল বিজনেস কনক্লেভে’ যোগ দেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের একাধিক আধিকারিকও যোগ দিয়েছিলেন।
এদিন দিঘায় গিয়ে শিল্পপতি হর্ষবর্ধন নেওটিয়া বলেন, ‘‘দিঘার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ১০ বছর আগে দিঘায় এসে যে পরিবেশ দেখেছিলাম, তার থেকে অনেকটা বদলেছে’’। জানা যাচ্ছে, পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করার জন্য দিঘায় ১০০ রুমের পাঁচতারা হোটেল তৈরি করার ঘোষণা করেন হর্ষবর্ধন নেওটিয়া।