এককালীন দেড় লক্ষ টাকা করে ভর্তুকি দেবে রাজ্যের সরকার। পর্যটন খাতে আরোও বিকাশ করতে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এদিন অধিবেশনের প্রথমার্ধে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিধায়ক রোহিত শর্মা অভিযোগ করেন, দার্জিলিংয়ের ‘হোম স্টে’গুলি সরকারি ভর্তুকি পাচ্ছে না। যার জবাবে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, গোটা উত্তরবঙ্গের জন্য একটি সুসংহত ‘হোম স্টে’ নীতি তৈরি করা হয়েছে। যেখানে ওই এলাকার প্রায় আড়াই হাজার ‘হোম স্টে’কে তিন কিস্তিতে দেড় লক্ষ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর দাবি, এই মুহূর্তে সেই ‘হোম স্টে’গুলি নথিভুক্তকরণের কাজ চলছে। এই ভর্তুকি পাওয়ার জন্য ‘হোম স্টে’র মালিকদের জেলাশাসকের কাছে আবেদন করতে হবে। ওই আবেদন জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা অনুমোদন করলে এককালীন আর্থিক ভর্তুকি পাওয়া যাবে।
পর্যটন দপ্তরের কর্তাদের দাবি, এদের কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৈরি হয়েছে পৃথক ‘হোম স্টে’ নীতি। সেখানেই ‘হোম স্টে’র মালিকদের এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যা রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছে। এই টাকা দিয়ে ‘হোম স্টে’র পরিকাঠামো উন্নয়ন, পরিবেশ বান্ধব আবহ, ঘরের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি, খাবারের মানোন্নয়ন সহ একাধিক বিষয়ে উন্নতি করতে পারবেন মালিকরা।
প্রসঙ্গত, দার্জিলিং, কালিম্পং, ডুয়ার্স সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ‘হোম স্টে’র চাহিদা বাড়ছে। পর্যটন দপ্তরের কর্তাদের পর্যবেক্ষণ, দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এখন হোটেল-রিসর্টের চেয়ে বাড়ির পরিবেশ এবং ঘরোয়া রান্না বেশি পছন্দ করছেন। তাই দিন দিন ‘হোম স্টে’র রমরমা বাড়ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সেইসব এলাকার স্থানীয় মানুষজন নিজের বাড়িকেই ‘হোম স্টে’তে রূপান্তরিত করছে। ফলে ওই এলাকার পর্যটন শিল্প তথা অর্থনীতিতে অতিথি সেবার এই নয়া পরিকল্পনা ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।