শহর কলকতার প্রাচীনতম ঐতিহ্য ট্রাম। তবে এখন অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় পরিত্যাক্ত হিসেবে ফেলে রাখা হয়েছে পুরনো ট্রামগুলিকে|এবার সেই ট্রামেই স্ট্রীট ফুড হাব গড়ে তোলা হবে| এমনটাই চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা। মঙ্গলবার একথা জানান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ| শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতেই এহেন উদ্যোগ বলে মত তাঁর।
কলকাতা পুরসভা ‘কিনলে পরিবর্তন’, ‘কোকো কলা’র যৌথ উদ্যোগে কলকাতার ১০৪টি স্থান পরিদর্শন করে সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ করা করেছে রাজ্য খাদ্য দফতর। সেখানে কলকাতার সমস্ত স্ট্রিট ফুডের ওপর সমীক্ষা করে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এদিন রিপোর্ট প্রকাশ করেন রাজ্য কো-অর্ডিনেটর ইন্দিরা চক্রবর্তী। সমীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় ৪২টি জিনিসকে সচেতনতার মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়েছে। এই মাপকাঠি গুলি মেনে আগামীদিনে শহরে ১০টি ফুড জোন তৈরী করা হবে| আর এই ফুড জোনগুলি গড়ে তোলার জন্যই কাজে লাগানো হবে প্রাচীন পরিত্যাক্ত ট্রামকে| ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পরিবহন দফতরের তরফ থেকে পুরসভার কাছে ট্রামগুলিকে কাজে লাগানোর প্রস্তাব এসেছে বলে জানান অতীন ঘোষ| তিনি বলেন, “ফুড সেফটির স্ট্যান্ডাড মেনে খাবার তৈরী করতে গেলে আমাদের কিছু ফুড জোন তৈরী করতে হবে| যেখানে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যের দিকটি নজরে রেখে ৪২টি মাপকাঠি মেনে খাবার তৈরী করা হবে। রাজ্য পরিবহন দফতরের তরফে আমাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ট্রাম কোম্পানির কাছে যে পরিত্যাক্ত ট্রাম পরে রয়েছে সেগুলোকে ব্যবহার করার জন্য|” তিনি আরও জানান, “ আগামী দিনে শহরে কমপক্ষে ১০টি ফুড জোন তৈরী করা হবে| পরিত্যাক্ত ট্রামগুলিকে পরিষ্কার করে সেখানে ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ডের নিয়ম মেনে খাবার রাখা হব।” ডালহৌসি, উত্তর ও দক্ষিন কলকাতার ফাঁকা জায়গায় এই ট্রামগুলিকে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, এদিন স্ট্রিটফুডের সমীক্ষা করার পর রিপোর্টে পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে গাফিলতি দিকগুলি উঠে এসেছে| সেই দিক গুলোকে সংশোধন করে নিলেই ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কলকাতার স্ট্রীট ফুড অনেক বেশি নিরাপদ মনে করেন ইন্দিরা চক্রবর্তী। এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই ১৬টি জোনে ২৬ জনের দল কাজ করছে সারা কলকাতা জুড়ে।