আগামী ২৫ নভেম্বর রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে । পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর সদর , নদীয়ার করিমপুর ও উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ । এই তিনটি বিধানসভার উপ-নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে হবেই এটাই তৃণমূল নেত্রীর কড়া নির্দেশ । কালীপুজোর পরের দিনেই সোমবার এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী সহ নদিয়া ও উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জানা গেছে , দলনেত্রী বলেছেন , আমাদেরকে খড়্গপুর সদর বিধানসভা যেকোনো ভাবে নিতে হবে । এ বিষয়ে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । 
কারণ খড়্গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন কংগ্রেসে দখলে ছিল । ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে সর্বপ্রথম বিজেপি প্রার্থী হিসাবে দিলীপ ঘোষ জয়ী হন । আর এখান থেকেই মেদিনীপুরের সাংসদ হিসাবে দিলীপ ঘোষ সংসদে গেছেন । সুতরাং এই আসনটি তৃণমূল জিততে পারলে তাতে বিজেপি দল যে বড় ধাক্কা খাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । সুতরাং এই কেন্দ্রটি জেতানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে । জানা গেছে , এই কেন্দ্রে তৃণমূল কাকে প্রার্থী করবে তা ঠিক করবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শোনা যাচ্ছে , প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দ্বিনেশ ত্রিবেদীকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী । খড়্গপুর বিধানসভায় জয়ের নেপথ্যে থাকবে তৃণমূলের এনআরসি বিরোধী আন্দোলন । কারণ এনআরসি নিয়ে অমিত শাহের হুমকির পর পশ্চিম মেদিনীপুরের সাধারন মানুষের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে । ফলে হাজার হাজার মানুষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল ও সিপিএমে যোগ দিয়েছে । মেদিনীপুর শহরে যেখানে বিজেপি পতাকা ছিল তা আর দেখা যাচ্ছে না , সেখানে এখন হয় তৃণমূল নয় সিপিএমের পতাকা শোভা পাচ্ছে । এ থেকে অনুমান করা যায় , আগামী দিনে এই এলাকায় বিজেপির ফল ভাল হবে না ।
এছাড়া বাকি দুটি আসনে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানা গেছে । করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রটিতে খুব সহজেই তৃণমূল প্রার্থী জয়লাভ করবেন । এনিয়ে কোনো সন্দেহ নেই । কলিয়াগঞ্জে কংগ্রেসের ঘাঁটি হলে এখানে মূল লড়াই হবে তৃণমূল দলের সঙ্গে । তবে যাতে এখানে বিজেপি দল তৃতীয় স্থানে থাকে সেদিকে বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূলের নজর রয়েছে ।


Find out more: