বাবরি মসজিদ মামলায় রায় ঘোষনার পর যাতে কোনো রকম অশান্তি না ঘটে তার জন্য কড়া পদক্ষেপের পথে উত্তর প্রদেশ সরকার । এ বিষয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছেন , অযোধ্যা মামলার রায় যাইহোক না কেন কোনরূপ মিছিল , মিটিং যেন হিন্দুরা না করে । এরপরেই আজ উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার ঘোষনা করে দিল , মামলার রায় বের হওয়ার পর কোনো রূপ অশান্তি হলে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
রবিবার হরদোই থেকে এমনই বার্তা দেন রাজ্য পুলিশের প্রধান ওপি সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা একেবারে প্রস্তুত। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নিজের হাতে আইন তুলে নিতে দেওয়া হবে না কাউকে। আমাদের গোয়েন্দারা কাজে লেগে পড়েছেন। আইন–শৃঙ্খলা লঙ্ঘিত হতে দেখলে, প্রয়োজনে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৯৮০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় সংসদে জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাশ করেছিলেন। এর আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যগুলি যে কোনও ব্যক্তিকে একবছর পর্যন্ত আটক করে রাখতে পারে। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে, আটক করার ১০ দিন পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে তা জানাতে বাধ্য নয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। বন্দি থাকাকালীন হাইকোর্টের উপদেষ্টা বোর্ডের কাছে আবেদন জানাতে পারেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু আইনজীবী নিয়োগ করার অধিকার নেই তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই এই আইনের বিরুদ্ধে সওয়াল করে আসছেন সমাজকর্মীরা। 
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকে প্রায় তিন দশক ধরে মামলাটি আদালতে ঝুলছে। ২.৭৭ একর ওই জমির উপর দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের মালিকানা দাবি করে আসছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া–সহ বিভিন্ন সংগঠন। কোনও বিরতি ছাড়া সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে টানা ৪০ দিন ধরে মামলার শুনানি হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর রায় ঘোষণার কথা প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের।


Find out more: