কোচবিহারে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল মিমকে বিজেপির বন্ধু বলে অভিহিত করেন । সেই প্রসঙ্গেই নাম না করে আক্রমণ করেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএম-কে (অল ইন্ডিয়া মজলিশ-এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন)।
তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘হিন্দুদের মধ্যে যেমন অনেকে উগ্রবাদী রয়েছেন, তেমন সংখ্যালঘুদের মধ্যেও রয়েছেন।’’ সেই উগ্রবাদীদের নিয়েই একটি দল বাংলার রাজনীতিতে ঢুকতে চাইছে বলে মমতা ইঙ্গিত দেন।
তিনি বলেন, ‘‘তাদের বাড়ি এখানে নয়, তাদের আসল বাড়ি হায়দরাবাদে। মনে রাখবেন, ওরা বিজেপির টাকা খায়।’’ বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে এমআইএম বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছে বলে মমতা ইঙ্গিত দেন। ওই দলের ‘অপপ্রচারে’ সাড়া না দেওয়ার আহ্বানও জানান তৃণমূল চেয়ারপার্সন।’’
এর পরেই ছিল নিজের দলের প্রতি সতর্কবার্তা। উত্তরবঙ্গে এখন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করছেন বলে এ দিন মন্তব্য করেন দলনেত্রী। এই সমন্বয় অনেকটা আগে থেকে দেখা গেলে বিজেপি দাঁত ফোটাতে পারত না— দলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
দলে কে ভাল কাজ করছেন, কে করছেন না, সব খোঁজ তিনি রাখছেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন কোচবিহারের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের জানান। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, মিহির গোস্বামী, পার্থপ্রতিম রায়দের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে মমতার বার্তা— কোনও গোষ্ঠী কোন্দল তিনি বরদাস্ত করবেন না। তাঁর কথায়, ‘‘একটাই গোষ্ঠী, জোড়াফুল, আর কোনও গোষ্ঠী নেই।’’
কোচবিহার জেলায় গোটা দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে— এই বার্তা এ দিন বার বার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মমতা। আর বলেছেন, ‘‘মীরজাফরদের দল থেকে বার করে দিন।’’