মহারাষ্ট্রে সরকার সব উদ্যোগ নেওয়ার হঠাৎ পাশার দান উল্টে দিয়ে যেভাবে বিজেপি সরকার গড়ল তার তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস দল । আজ শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরাসরি রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস । কংগ্রেস দাবি করেছে রাজ্যাল বৃহত্তর দল হওয়ার কারণে বিজেপিকেই সরকার গড়তে ডাকে । কিন্ত বিজেপি জানিয়ে দেয় তারা সরকার গড়বে না । এরপর শিবসেনাকে সরকার গড়ার জন্য আমন্ত্রণ করেন রাজ্যপাল । কিন্ত শিবসেনা বেশি সময় দেওয়া হয়নি । এরপর সরকার গড়তে ডাকা হয় এনসিপিকে । তাকেও সময় কম দেওয়া হয় । কিন্ত কংগ্রেস কেন সরকার গড়তে ডাকা হল সে নিয়ে রাজ্যপাল নিরব ?
কংগ্রেস এই প্রশ্ন তোলার পরেই বলে , আমরা যখন মহারাষ্ট্রে স্থায়ী সরকার দেব ঠিক করছি , সব কিছু ঠিকঠাক । তখনই অজিত পাওয়ার জেলের ভয় দেখিয়ে নিয়ে উপ-মুখ্যমন্ত্রী সরকার গঠন করল বিজেপি । কংগ্রেস নেতা রনদীপ সুরযেওয়ালার প্রশ্ন এই অজিত পাওয়ারকে জেলে ঠোকানো হবে সাধারন মানুষের কাছে ভোট প্রচারে বার্তা দিয়েছিল । এখন সেই অজিত পাওয়ারকে জেলে নয় , উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দিলেন ফরেণবীশ ।
আজকের ঘটনাক্রমকে কংগ্রেস দল যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে । তার প্রমাণ পাওয়া যায়, আজকের সাংবাদিক বৈঠকে স্বয়ং সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল উপস্থিত ছিলেন । তিনি বলেন,আস্থাভোট হলে তিনটি দলই (শিবসেনা–এনসিপি–কংগ্রেস) একসঙ্গে কাজ করবে। রাজনৈতিক ও আইনি পথেই আমরা লড়াই করব এর বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন , সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আমরা কোনও দেরি করিনি। সরকার গঠনের মতো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে, ঐক্যমতে আসতে বেশ কয়েকটা ধাপ পার হতে হয়। শেষমেশ আজ দুপুরেই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কথা ছিল, দাবি কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেলের।
কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়করা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে , বাইরে রয়েছেন দু’জন। তাঁরাও শিগগির যোগ দেবেন আমাদের সঙ্গে। সাত সকালে বিজেপির চুপিসাড়ে সরকার গঠন সম্পর্কে আহমেদ পটেল বলেন, এর থেকে লজ্জাজনক কিছুই হয় না। বিজেপি নির্লজ্জতার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই শপথগ্রহণ গণতন্ত্রের জন্যেই লজ্জা মহারাষ্ট্রের ইতিহাসে এ এক কালো দিন। একজন নেতা কারও থেকে অনুমতি না নিয়ে গোপনে রাজ্যপালের কাছে চলে গেলেন, এমনটা লজ্জাজনক। আমি আশঙ্কা করেছিলাম, এমনটা হতে পারে, দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা আহমেদ পাটেল।