মহারাষ্ট্রে শিবসেনাকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়তে প্রথমে রাজি হয়নি কংগ্রেস । কারণ শিবসেনার সঙ্গে আদর্শগত তফাৎ রয়েছে কংগ্রেসের । কিন্ত শরদ পাওয়ার বারবার অনুরোধ করার পর সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং ডাকেন । সেই মিটিং-এ ঠিক হয় শিবসেনার সঙ্গে সরকার গড়বে কংগ্রেস । মূলত বিজেপিকে সরকারের বাইরে রাখার জন্যই এই রাজনৈতিক কৌশল বলে কংগ্রেস দাবি করে । এই সিদ্ধান্ত হওয়ার পর যখন শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের সরকার গঠন সময়ের অপেক্ষা মাত্র ঠিক তখনই রাতের মধ্যে অবস্থান বদলে দিয়ে অজিত পাওয়ারকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি-র দেবেন্দ্র ফরেণবীশ সরকার গঠন করে নেয় । মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়ায় জোটের তিন দলের নেতা ক্ষুদ্ধ হন । পরে কংগ্রেস দল তার বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে মহারাষ্ট্রে চুপিসাড়ে বিজেপি সরকার গঠনকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছে । গত শনিবার কংগ্রেস বিধায়ক দলের এক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা ও সোনিয়া গান্ধী রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল মন্তব্য করেছেন, ‘‘চ্যালেঞ্জটা শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যপালের কাছ থেকেই এসেছে, তা নয়। তা এসেছে, কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ করে (নরেন্দ্র) মোদী এবং অমিত শাহর থেকেও। ফলে তাঁদের পরাজিত করাটা খুব প্রয়োজন।’’ দলীয় বিধায়কদের কাছে তাঁর নির্দেশ, ‘‘যে পরিস্থিতিই হোক না কেন, আমাদের একত্র থাকতে হবে, মনোবল হারালে চলবে না।’’
শনিবার প্রকাশিত একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের দলীয় বিধায়কদের এ ভাবেই চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন আহমেদ পটেল। আহমেদ ছাড়াও তাতে রয়েছেন মল্লিকার্জুন খড়্গে, সুশীলকুমার শিন্দে, কে সি বেনুগোপালের মতো দলের র্শীষ নেতারা।
ওই ভিডিয়োতে আহমেদ পটেলকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের একত্র থাকতে হবে, সঙ্ঘবদ্ধ থাকতে হবে। কোনও রকম দূর্বলতা দেখালে চলবে না। মনোবল অটুট রাখতে হবে। একত্র থাকতে হবে, কারণ বিজেপি আমাদের দিকে একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।’’ ৩০ নভেম্বর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হতে পারে দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকারকে। সে কথা মাথায় রেখে তাঁর মন্তব্য, ‘‘৩০ নভেম্বর আমরাই ফের জিতব। এটা খুবই প্রয়োজনীয়। এবং এটাই নিশ্চিত।’’
দেবেন্দ্র ফরেণবীশ বিধানসভায় কবে আস্থা ভোট নেবেন সেই সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট । আজ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানী হয় , আগামী কাল চূড়ান্ত শুনানী হবে । তারপরেই ফয়সালা হবে কবে আস্থা ভোট নেবেন ফরেণবীশ।