২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর কলকাতার নেতাজী ইণ্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যুবশ্রী প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। প্রথম দফায় ১ লক্ষ যুবশ্রীকে মাসিক ১৫০০ টাকা ভাতা দেবার কথা ঘোষণাও করেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, ধাপে ধাপে বিভিন্ন পদে যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের সুুযোগ তৈরি করে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতির পর ৬ বছর কেটে গেলেও এখনও কারও চাকরি হয়নি। অথচ বর্তমানে রাজ্যে ৩৩ লক্ষ বেকার। প্রতিশ্রুতির আশায় বসে থাকতে থাকতে অনেকেরই বয়স পেরিয়ে ৫০-এ ঠেকছে।
আর তাই সোমবার বর্ধমানের জাগরী হলে পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেণ্ট ব্যাঙ্ক কর্মপ্রার্থী সমিতির পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবীকে সামনে রেখে জোড়ালো আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সংগঠনের সম্পাদক প্রণয় সাহা জানিয়েছেন, এদিনের এই সভায় যে দাবীগুলি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয় সেগুলি হল ভাতা নয় চাকরি চাই। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে যুবশ্রীদের অবিলম্বে স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ৬ মাস অন্তর পুনর্নবীকরণের নামে সংযোজন-৩ প্রক্রিয়াকে বাতিল করতে এবং অনৈতিকভাবে যাদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাদের অবিলম্বে ভাতা চালু করতে হবে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পেশাল কমিশন গঠন করে অবিলম্বে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোপরি জেলা প্রশাসনে বিভিন্ন সরকারী পদে স্থায়ী ও অস্থায়ী পদে যুবশ্রীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রণয়বাবু জানিয়েছেন, এই দাবীকে সামনে রেখেই তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উল্লেখ্য, এদিন এই দাবীতে পূর্ব বর্ধমান জেলা শাসকের কাছে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।