মহারাষ্ট্রে আস্থা ভোট কবে তা আগামী কাল মঙ্গলবার জানাবে সুপ্রিম কোর্ট ।সোমবার প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে বিজেপি তথা সরকার পক্ষ এবং শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের যুক্তি, পাল্টা যুক্তি শোনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এন ভি রমণ, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ। আগামিকাল সকাল সাড়ে ১০টায় রায় ঘোষণা করা হবে।
তবে সুপ্রিম কোর্টে জোটের যে রিট পিটিশন নিয়ে শুনানি হচ্ছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির আইনজীবী মুকুল রোহতগি। জোটের পক্ষে ওই রিট পিটিশনে আবেদন করা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আস্থাভোট করা হোক। তবে মুকুলের প্রশ্ন, ৩০ নভেম্বর আস্থাভোটের দিন ধার্য করা সত্ত্বেও রাজ্যপালের সে নির্দেশ নিয়ে আদালত কেন হস্তক্ষেপ করছে? তাঁর প্রশ্ন, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলি বা নেতারা যে ভাবে নিজেদের অবস্থান বদল করছেন, তাতে ভবিষ্যতে কী হবে, তা রাজ্যপালের পক্ষে কী করে বোঝা সম্ভব?’’
অন্য দিকে সরকার পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার দাবি, ‘‘২২ নভেম্বর ৫৪ জন এনসিপি বিধায়কের স্বাক্ষর করা চিঠি রাজ্যপালের কাছে জমা দেন অজিত পওয়ার। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে স্থায়ী সরকার গঠনের জন্য আমরা দেবেন্দ্র ফডণবীসকে সমর্থনের কথা জানিয়েছি।’’ তুষার মেহতার যুক্তি, এর পরেই রাজ্যপাল কোশিয়ারী দেবেন্দ্র ফডণবীসকে সরকার গ়ড়ার আমন্ত্রণ জানান।
তবে সরকার পক্ষের যুক্তি খণ্ডন করে শিবসেনা ও কংগ্রেস-এনসিপি জোটের তরফে আইনজীবী যথাক্রমে কপিল সিব্বল ও অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির প্রশ্ন, কোন যুক্তিতে সাতসকালে তড়িঘড়ি সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যপাল? কী এমন তাড়া ছিল তাঁর?
এ দিন শিবসেনা ও কংগ্রেস-এনসিপি জোটের তরফে আইনজীবী যথাক্রমে কপিল সিব্বল ও অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি মূলত দু’টি বিষয়ে আদালতে সরব হন। সিব্বলের প্রশ্ন, ‘‘কী এমন জাতীয় বিপর্যয় ঘটেছিল, যাতে শনিবার ভোর ৫টা ৪৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিতে হয়েছিল? কেন সব কিছুই শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৫টা ৪৭ মিনিটের মধ্যেই ঘটল? রাজ্যপাল কি ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে পারতেন না?’’ সিব্বলের দাবি, বিজেপি যে ভাবে সরকার গঠন করেছে, তাতে গণতন্ত্রের সঙ্গে জালিয়াতি করা হয়েছে।
সিঙ্ঘভি একে ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ বলেও আখ্যা দেন। দুই আইনজীবী আদালতের কাছে আজকেই আস্থাভোটের দাবি করেন। তাঁদের আরও দাবি, নির্বাচন পরবর্তী জোটের পর তিন দলের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।