এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জী বিরুদ্ধে রাজ্যে উপনির্বাচনে ভোট হয়েছে । প্রতিটি ভোটের প্রচারে তৃণমূল ও বিরোধী দল কংগ্রেস জোট বলে আসছিল এনআরসি তারা রাজ্যে করতে দেবে না । রাজ্যের মানুষ এনআরসি-র পক্ষে না বিপক্ষে সেটাই ছিল এই নির্বাচনে মূল বিষয় । করিমপুরে রাজ্যের শাসক দলের নেতা তথা এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক মহুয়া মৈত্র ভোটের প্রচারে শেষ লগ্নে এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রচার করে বিজেপি-র হেভিওয়েট প্রার্থীর জমানত জব্দের উপকরণ তৈরি করে দিয়েছিলেন ।
খড়্গপুরে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গড় ছিল । সেখানে কয়েক মাস আগে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনেও ৪৬ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ । কিন্ত মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে ব্যাপকভাবে হেরে গেল বিজেপি । কেন এমন হল ? কারণ বাঙালি জাতীয়তাবাদের জাগরণ । বাংলা ভাষা , বাঙালিদের প্রতি বিজেপির যে কুৎসিত মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে তারই প্রতিক্রিয়া দিল খড়্গপুরের বাঙালিরা ।
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির পরাজয় ইঙ্গিত দিল এনআরসি ক্লিন বোল্ড । এনআরসির নাম করে হিন্দু-মুসলমান বিভাজন ঘটিয়ে এই বাংলায় ঠাঁই পাওয়া যাবে না বাংলার জনাদেশ দিকেই ইঙ্গিত করল । এই নির্বাচন প্রমাণ করল কেউ আর চাণক্য নয় । কেউ আর অপরিহার্য নয় । মুকুল রায়ের মত নেতাদের অবস্থা খুব একটা ভাল নয় । মুকুলকে যাঁরা চাণক্য বলছিলেন তারা আসলে ভুল করছিলেন এটা প্রমাণিত হল । উপনির্বাচনের ফলে স্পষ্ট বাংলার মানুষ আর বিজেপির সঙ্গে নেই ।

Find out more: