এক আসামিকে জামিন দিতে অস্বীকার করায় এক মহিলা বিচারপতিকে পেটানোর হুমকি দিলেন আইনজীবীরা। এই ঘটনায় ১২ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে ওই মহিলা বিচারপতি।তবে এই অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন খোদ বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সচিব। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে কেরল হাইকোর্টে।
এফআইআরে জানানো হয়েছে, বুধবার এজলাসে এক সরকারি বাসচালকের জামিনের আর্জি নামঞ্জুর হওয়ার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন জনাকয়েক আইনজীবী। কিছু ক্ষণ পর তিরুঅনন্তপুরমের জুডিশিয়াল ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেট দীপা মোহন যখন আদালতে তাঁর চেম্বারে গিয়ে ঢোকেন, তখনই তাঁর ঘরে চড়াও হন ১২ জন আইনজীবী। তাঁরা বিচারপতির ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। তার পরেই শুরু হয় তাঁদের হুমকি। ওই আইনজীবীর দল বিচারপতিকে হুমকি দিয়ে বলেন ‘‘আপনি যদি মহিলা না হতেন, তা হলে আপনাকে ঘর থেকে টেনে বের করে পেটাতাম।’’
এফআইআরে বিচারপতি মোহন লিখেছেন, ‘‘আমাকে বলা হয়, আপনি কী ভাবে ঘর থেকে বেরতে পারেন, দেখে নেব। ওঁরা আদালতের অন্যদেরও বেরিয়ে যেতে বলেন। এও বলেন, আজ থেকে আদালতে কোনও কাজকর্মই হতে দেব না, আসামিকে জামিন না দেওয়া হলে।’’২৭ নভেম্বরের এই ঘটনার বিষয়ে আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি লিখে গোটা ঘটনার কথা জানায় কেরল জুডিশিয়াল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, বিচারপতি ও কর্মীদের হেনস্থা করার ঘটনা বেআইনি ভাবে আটকে রাখা, ফৌজদারী উদ্দেশ্য এবং সরকারি কর্মীকে কর্তব্যে বাধা দেওয়ার মতো অপরাধের শামিল। অবিলম্বে কেরল হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের দাবিও জানায় অ্যাসোসিয়েশন।