রাজ্যপালকে বয়কটের ডাক দিয়েছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস । সেই বয়কটের রেশ যে খোদ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়বে তা বুঝে উঠতে পারেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । তিনি আজ বুধবার হঠাৎ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান । সেখানে গিয়ে দেখেন উপাচার্য থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান কেউ উপস্থিত ছিলেন । এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতেও বিশ্ববিদ্যালয়ে গেটে কেউ ছিলেন না ।
বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনেট বৈঠকে হবে না জেনেও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন। সেই সময় ছিলেন না লাইব্রেরিয়ান। ভায়েস চ্যান্সেলরের দেখা মেলেনি। এরপর তিনি সরাসরি উপাচার্যের ধরে যান। গিয়ে দেখেন দরজায় তালা ঝুলছে। রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনকর। তিনি তালা খোলার নির্দেশ দেন। তবে সেই মুহূর্তে ভিসির ঘরের চাবি খুঁজে পাওয়া যায়নি।আচার্য হয়েও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বসার জায়গা পেলেন না রাজ্যপাল।
অনিবার্য কারণে বুধবার সেনেটের বৈঠক স্থগিত রাখা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তবে দেখা মেলেনি উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং নিবন্ধকের। এতে অত্যন্ত বিরক্ত হন জগদীপ ধনকর। রাজ্যপালের অপমানিত হওয়ার ঘটনাকে সমালোচনা করলেন মুকুল রায়।
বুধবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুল রায় বলেন, রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট চলছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় যিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, তিনি গিয়ে দেখলেন উপাচার্যের ঘরে তালা। অন্যদিকে বিধানসভা স্থগিত। রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সমন্বয় নেই। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিৎ।