বেনজীর ঘটনা সাক্ষী হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিল পড়ুয়ারা ।এক খোলা চিঠিতে আচার্য পদ থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে বহিষ্কারের দাবি জানালেন তাঁরা। ওই চিঠিতে রাজ্যপালকে ‘‘প্রাক্তন চ্যান্সেলর” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র সংগঠন এএফএসইউ ও এফইটিএসইউ-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তাঁকে তাঁর পদ থেকে ‘রাস্টিকেট’ করা হোক। চিঠিতে দাবি করা হয়, ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল। সেই সময় সেখানে ছিল দুষ্কৃতীরা যারা বোমা ছুড়ে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে।চিঠিতে আরও বলা হয় ২২ ডিসেম্বর নিমন্ত্রিত না হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন রাজ্যপাল।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘আমরা আপনার ব্যবহার ও উদ্দেশ্য দেখে এই সিদ্ধান্তে এসেছি যে সেটা ছিল পড়ুয়াদের নজর কাড়ার নির্লজ্জ প্রয়াস, যার ফলে আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে।” চিঠিতে আরও দাবি করা হয়, এনআরসি, এনপিআর, সিএএ ও ছাত্রদের লক্ষ্য করে হিংসা বিশেষ করে মুসলিমদের প্রতি হিংসা— এই সব বিষয়ে করা প্রশ্নে রাজ্যপালের উত্তর ‘‘অসন্তোষজনক” হওয়ায় তাঁকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের পদ থেকে বহিষ্কৃত করা হচ্ছে।
পাশাপাশি রাজ্যের রাজ্যপালের পদে তাঁর অবস্থানকে অমান্য করার কথাও জানানো হয় ওই চিঠিতে। সেই সঙ্গে একটি ‘রিপোর্ট কার্ড’ও জুড়ে দেওয়া হয় চিঠির সঙ্গে। তাতে বলা হয়, রাজ্যপালের সাধারণ জ্ঞান সন্তোষজনক নয় এবং তাঁর ইতিহাসজ্ঞান শূন্য। সব মিলিয়ে তিনি ‘‘মেরুদণ্ডহীন” বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্ট কার্ডে।