জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে গেরুয়া তাণ্ডবের প্রতিবাদে এ বার পথে নামলেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পড়ুয়ারা। সোমবার সকালে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার সামনে জমায়েত করেন মুম্বইয়ের বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়ারা। দিল্লি ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুরাও পথে নামেন। দুপুরে ২টো নাগাদ পথে নামেন কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার পড়ুয়ারাও।
মুম্বইয়ে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার সামনে জমায়েত করছেন বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়ারা। জেএনইউয়ে মুখোশধারীদের হামলার তীব্র প্রতিবাদ করছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে স্লোগান এবিভিপি-র বিরুদ্ধে স্লোগানও চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন পড়ুয়ারা। সেখানে পড়ুয়াদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা সুশান্ত সিংহও। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি নিয়ে মুখ খোলায় একটি টেলিভিশন শো থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
উইমেনস পার্টিসিপেশন ইন ডিসিশন মেকিং’ শীর্ষক আলোচনা সভা চলাকালীন পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা করতে ওঠেন হরিয়ানা বিধানসভার স্পিকার জ্ঞানচাঁদ গুপ্ত। তাঁকে দেখেই বিজেপি এবং এবিভিপি বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, নিরাপত্তারক্ষীদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। বিক্ষোভকারীদের সেমিনার থেকে বার করে নিয়ে যান তাঁরা। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জেএনইউয়ের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন কানুপ্রিয়া নামের এক ছাত্রী। রীতিমতো পরিকল্পনা করেই জেএনইউ ছাত্র সংসদের নেত্রী ঐশী ঘোষের উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জেএনইউ-তে তাণ্ডবের প্রতিবাদে এ দিন জয়পুরে পথে নামেন রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া (এনএসইউআই)-র সদস্যরা। তার পাল্টা হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভের ডাক দেয় এবিভিপি-র পড়ুয়ারাও। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সঙ্ঘর্ষ বাধে। তা হাতাহাতির পর্যায়েও পৌঁছে যায়। তবে এই পরিস্থিতির জন্য দু’পক্ষই পরস্পরকে দায়ী করেছে।
এ ছাড়াও এ দিন বিকালে ভোপাল, বেঙ্গালুরু, পুণে, আমদাবাদে পড়ুয়াদের মিছিল বেরোয়। বিকাল ৫টায় রাঁচীতেও প্রতিবাদ মিছিল বার করেন পড়ুয়ারা।
ইতিমধ্যেই জেএনইউ-তে হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জেএনইউয়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। লন্ডনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তরফেও জেএনিউয়ের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।