নেপালের সমাজ কল্যান দফতর একটি নীতি প্রণয়ন করতে চলেছে , সীমান্তবর্তী মাদ্রাসাগুলি নজরদারি চালানোর জন্য বিশেষ কমিটি তৈরি উদ্যোগ নিয়েছৈ 
আজ রবিবার কাঠমান্ডু পোস্ট এক বিবৃতিতে নীতির খসড়া উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে বলেছে, “নেপাল চারদিক দেশ দিয়ে অর্থাৎ স্থলভাগ দিয়ে ঘেরা একটি দেশ এবং এর উত্তর ও দক্ষিণে বিশাল জনসংখ্যার দু‘টি বৃহত দেশ রয়েছে। সুষম সম্পর্ক বজায় রাখার নেপালের যে বিদেশ নীতি তার উপর ভিত্তি করে যে কোনও দেশই যদি কোনও প্রকল্পের বিরোধিতা করে তাহলে সেটি কার্যকর করা হবে না।“

 কাউন্সিলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নীতিটি এখনও খসড়া পর্যায়েই রয়েছে এবং এনজিও গুলির রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত একটি নতুন আইনের মাধ্যমে কিছু বিষয়ের সমাধান করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।কাউন্সিলের তথ্য আধিকারিক দুর্গা প্রসাদ ভট্টরাই জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত নীতিটি বিশেষত সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে এনজিও গুলির কার্যক্রম বিষয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের উদ্বেগের সমাধানের লক্ষ্যেই গৃহীত।
“প্রস্তাবিত নীতির উদ্দেশ্য হ‘ল, বিশেষত সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে নেপাল সরকার যে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলির মাদ্রাসা ও মঠ নির্মাণের নামে কৌশলগত একত্রিতকরণ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন তা সকলকে জানানো,” কাঠমান্ডু পোস্টকে জানিয়েছেন দুর্গা প্রসাদ ভট্টরাই।কাউন্সিল অনুসারে, ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে মাদ্রাসাগুলি কাতার, সৌদি আরব এবং তুরস্কের মতো দেশ থেকে তহবিল পাচ্ছে।
কাউন্সিলের সদস্য সচিব রাজেন্দ্র কুমার পাউদেল বলেছেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মাদ্রাসাগুলির বিশাল উপস্থিতি নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তার কথায়, “সুতরাং আমরা বিদেশি তহবিল অনুমোদন প্রদানের সময় মাদ্রাসাগুলির নেপথ্যের তহবিলের উৎস এবং মাদ্রাসায় কী কী করা হচ্ছে তা যাচাই করছি। আমরা ভারতের উদ্বেগ সমাধানের পক্ষেই।“

Find out more: