মানুষের মত যদি বাঘও গরু খায় তাহলে বাঘকেও সাজা পেতে হবে। এ জেনে সেই ইঁদুরের বুদ্ধিতে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে।
বুধবার গোয়ার বিধানসভায় বাঘ-বিতর্কে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিলেন এনসিপি’র বিধায়ক চার্চিল আলেমাও। তিনি বলেন, ‘গো-হত্যার অভিযোগে মানুষকে যেমন সাজা পেতে হয়, তেমনই বাঘেরাও গোরু মারলে তাদের উপযুক্ত শাস্তি পাওয়া উচিত।’
গত মাসে গোয়ার মহাদায়ী অভয়ারণ্য সংলগ্ন গ্রামগুলিতে একের পর এক গরু,ছাগল,ভেড়া সহ অন্যান্য গবাদিপশু মারা পড়ছিল । গ্রামবাসীদের সন্দেহ, অভয়ারণ্যের বুনো বিড়ালই লোকালয়ে ঢুকে গোরুদের খেয়ে ফেলছে। তাদের ‘শায়েস্তা’ করতে বিভিন্ন পন্থা নিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তার ঠিক পরেই অভয়ারণ্যের ভিতর থেকে এক বাঘিনী ও তার তিনটি শাবকের দেহ উদ্ধার হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর বনকর্তারা জানতে পারেন, বিষক্রিয়ায় তারা মারা পড়েছে। এই ঘটনায় সন্দেহের তির গিয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের উপর। এদিন বিধানসভার অধিবেশনে বিষয়টি তোলেন বিরোধী দলনেতা দিগম্বর কামাত। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই মানুষের গো-হত্যার সঙ্গে বাঘের গরু মারার তুলনা টেনে হইচই ফেলে দেন চার্চিল। তিনি বলেন, ‘বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে বাঘকে বাঁচিয়ে রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই মানুষের জীবন-জীবিকাকেও এড়িয়ে গেলে চলবে না। গরু হল মানব জীবনের অন্যতম সম্পদ। তা হলে কেন গরুকে মারলে বাঘের সাজা হবে না? গো-হত্যা করলে মানুষ তো পার পায় না। তাদেরকে শাস্তি পেতে হয়। বাঘ গরু মারলে তাকেও সাজা পেতে হবে।’ চার্চিলের এই মন্তব্যে তুমুল হইহট্টগোল শুরু হয় অধিবেশন কক্ষে।