গত বছর হাউডি মোদী অনুষ্ঠানের পরেই জীবনদায়ী ওষুধের দাম বেড়ে যায় এক লাফে অনেকটাই । ব্লাড সুগার, ব্লাড পেসার থেকে ক্যানসারের ওষুধের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল । মার্কিন মুলুক থেকে ফিরেই মোদী সরকার এই সব ওষুধের একলাফে অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় । উদাহরণ স্বরুপ বলা যেতে পারে ব্লাড পেসারের যে ওষুধের দাম ৬৬ টাকা ছিল তা একলাফে বেড়ে ৯৮ টাকা হয় মোদী মার্কিন সফরের পর।
আসলে এতদিন ধরে মার্কিন সরকারের কাছ থেকে যে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা আমরা পেতাম তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেই সমস্যা এতটা তীব্র হয়েছে । তাই আগামী ২৪ তারিখে ট্রাম্পের ভারত সফরে কোনো লাভ হবে কি সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে ।
কিন্তু সেই আনুষ্ঠানিকতার চেয়েও নয়াদিল্লির কাছে বড় হয়ে উঠেছে দু‘দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক টানাপড়েনে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেওয়া। সেই উদ্দেশেই আমেরিকা থেকে চিকেন লেগ ও টার্কি আমদানির প্রস্তাব নয়াদিল্লি দিতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, দুই ক্ষেত্রেই ট্যারিফ ১০০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে আনার প্রস্তাব দেওয়া হবে। এ ছাড়া হার্লে ডেভিসনের মতো বড় বাইক আমদানির উপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাবও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।আবার ভারতের দুধের বাজারে আমেরিকার প্রবেশাধিকার দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদনকারী দেশ দেশের প্রায় ৮ কোটি মানুষের জীবন জীবিকা এই পেশার উপর নির্ভরশীল। সেই বিপুল সংখ্যক মানুষের কথা মাথায় রেখেই এত দিন পর্যন্ত দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী রফতানির উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রেখেছিল ভারত সরকার। কিন্তু এ বার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরে আমেরিকার জন্য সেই রফতানির দরজা খুলে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।