ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলায় রায় ঘোষণার পর দেশের শীর্ষ আদালতের পাঁচজন বিচারপতির নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। ১৩৬ বছরের অবসান ঘটিয়ে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্কিত জমি হিন্দুদের। মসজিদের জন্য অযোধ্যায় বিকল্প ৫ একর জমি দিতে হবে। শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমি মামলায় ঐতিহাসিক এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ।
তবে রায় ঘোষণার পর একদিন কেটে গিয়েছে। দেশজুড়ে অশান্তির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কোনও হুমকিও আসেনি। তারপরেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রায়দানকারী সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতির নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করল প্রশাসন। শনিবার থেকেই তাঁদের জন্য বাড়ির সামনে অতিরিক্ত বাহিনী, ব্যারিকেড এবং মোবাইল এসকর্ট টিম মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।
ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলায় রায় ঘোষণায় পাঁচ বিচারপতি হলেন, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, পরবর্তী প্রধান বিচারপতি( রঞ্জন গগৈ অবসরের পর) শারদ অরবিন্দ বোবদে, বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এস আব্দুল নাজির। এখনও পর্যন্ত কোনও বিচারপতির কাছে কোনও হুমকি আসেনি বলে জানিয়েছেন এক প্রশাসনিক আধিকারিক। পড়ুয়াদের দাবি সত্ত্বেও সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম জগদীশ কুমার। এ দিন সকাল থেকেই দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের। জলকামান চালিয়েও তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। তাঁর সঙ্গে দেখা করেন পড়ুয়াদের এক প্রতিনিধিদল। তবে তা সত্ত্বেও কোনও সমাধানসূত্রে পৌঁছন যায়নি। প্রায় তিন ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার পর সেখান থেকে চলে যান তিনি।