তথ্য জানার অধিকার দেশের সাধারন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার । এতদিন সেই সাংবিধানিক অধিকার বলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কোনো তথ্য জানার অধিকার সাধারন মানুষের ছিল না । আজ সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে প্রধান বিচারপতির দফতরকে তথ্যের অধিকার আইনের আওতার আনা হয়েছে ।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, এ বার থেকে তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় আসতে চলেছে প্রধান বিচারপতির দফতরও। বিচারপতিদের মতামতের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতেই এ দিন এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাতে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি সরকারি কর্তৃপক্ষের এক্তিয়ারভুক্ত। তথ্যের অধিকার এবং গোপনীয়তার অধিকার দুটিই একই মুদ্রার এ পিঠ-ও পিঠ’ সাংবিধানিক বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়াও রয়েছেন বিচারপতি এনভি রামানা, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, দীপক গুপ্ত এবং সঞ্জীব খন্না।
গত ২০১০ সালে প্রধান বিচারপতিকে আরটিআইয়ের আওতায় আনার পক্ষে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির দফতরকে আরটিআই আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছিল ওই আদালত। সেই সঙ্গে ৮৮ পাতার রায়ে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কোনও বিচারপতির স্বাধিকার নয়, বরং এর দায়িত্ব তাঁর উপরেই বর্তায়।’ দিল্লি হাইকোর্টের সেই রায় এবং কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান শীর্ষ আদালতের সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় জনসংযোগ আধিকারিক। গত ৪ এপ্রিল এই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি।


Find out more: