২০২১-এর নির্বাচনে তৃণমূল আর বিজেপি একে অপরের প্রতিপক্ষ। এটাই ধরে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দুই দলই নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে। আর দাবি করছে ২০২১-এর নির্বাচনে তাঁরা কতগুলি আসন পেতে পারে। সাম্প্রতিক কালে সামনে এসেছে প্রশান্ত কিশোরের নাম করে দেওয়া একটি হিসেবষ সেখানে প্রশান্ত কিশোর নাকি দাবি করেছেন, তৃণমূল বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন পেতে পারে।
তৃণমূলের ভোট নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সমীক্ষা চালাচ্ছেন প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী সেই সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তৃণমূল যদি তফশিলি জাতি উপজাতিদের ভোট পায় তাহলেই ২০০ আসনে পৌঁছতে পারবে। সংরক্ষিত আসনের বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতিদের নিয়ে বৈঠকে এই কথা জানানো হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফ থেকে ২০১৬ সাল আর ২০১৯-এর নির্বাচনের ফল নিয়ে তুলনা করা হচ্ছে। ২০১৬ সালের থেকে ২০১৯-এ তৃণমূল কোথায় পিছিয়ে পড়েছে তারও যোগবিয়োগ চলছে। লোকসভায় কেন ফল খারাপ তারও পর্যালোচনা চলছে। এনিয়ে খোঁজখবর করছেন প্রশান্ত কিশোর।
২০১৯-এ ফল খারাপের কারণ খুঁজছেন প্রশান্ত কিশোর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিজের পর্যালোচনায় প্রশান্ত কিশোর দেখেছেন, তৃণমূলের ভোট কমার অন্যতম কারণ হল নেতাদের দুর্ব্যবহার।
২০২১-এর নির্বাচন যেমন তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জের, ঠিক তেমনই বিজেপির কাছেও চ্যালেঞ্জের। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের তফশিলি জাতি উপজাতি অধ্যুষিত আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। কেননা এই মানুষেরা তৃণমূলকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন বিজেপির দিকে। এইসব মানুষজনকে যদি বুঝিয়ে তৃণমূল শিবিরের দিকে আনা যায়, তবেই পর্যাপ্ত সাফল্য মিলতে পারে।


Find out more: