ভোর রাতে ভয়াবহ ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৭.১। ইন্দোনেশিয়ার উপকূলীয় মালুকু প্রদেশে ভূমিকম্পটি হয়। সেখানে বেশ কিছু ক্ষতি হলেও ,সেখানে কোনও সুনামি সতর্কতা দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে ,সুনামি হবে না। তবে বাসিন্দাদের মধ্যে সুনামি আতঙ্ক তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ১৪০ কিমি উত্তর পশ্চিমের উপকূলবর্তী শহর টারটেনের ৪৫ কিমি গভীরে। জানিয়েছে ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে। তবে ইউএস সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ধ্বংসাত্মক সুনামির কোনও সম্ভবনা নেই।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া দফতর অবশ্য বাসিন্দাদের বিচিগুলি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ১.১৭-তে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প হয়। যার জেরে ঘুম ভাঙার পরেই বাসিন্দারা ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়েন।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ারের কারণে ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্প প্রবণ। সেখানে অগ্ন্যুৎপাতও হয় মাঝে মধ্যেই। গত সেপ্টেম্বরে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। যার জেরে সুলাএসি দ্বীপপুঞ্জের পালুতে সুনামি দেখা দেয়। বহু মানুষকে সেই সময় নিখোঁজ ঘোষণা করা হয়েছিল।
গত জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার সুম্বা দ্বীপে ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে পরিমাপ ছিল ৬.১। তবে এই ভূমিকম্পের পরেই কম মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল সেখানে। যার তীব্রতা ছিল ৫.২।
গত ডিসেম্বরের সুনামি হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ায়। আগ্নেয়গিরিতে হওয়া বিস্ফোরণের পরেই সুন্দা প্রণালীতে হওয়া সুনামিতে মৃত্যু হয়েছিল কমপক্ষে ৪০০ জনের।
২০০৪-এর ২৬ ডিসেম্বর ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল এক প্রদেশে। সেই সময় সুনামির জেরে প্রায় একলক্ষ সত্তর হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।


Find out more: