শুক্রবার মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার দফতরে হানা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এদিন বেঙ্গালুরু এবং দিল্লিতে তাঁদের দফতরে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে সিবিআইয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ওই সংগঠন। তাদের দাবি, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব হওয়াতেই ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের নিশানা করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে তারা নাকি বিদেশী অনুদান আইন লঙ্ঘন করেছে । তবে ওই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ।
এ দিন অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব হওয়ায় গত এক বছরের বেশি সময় ধরেই নানা ভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছি আমরা। তবে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া ভারত এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে। ভারত এবং বিশ্বের সর্বত্র মানবাধিকার লঙ্গনের বিরুদ্ধে লড়াই করাই আমাদের কাজ। ভারতীয় সংবিধান এবং এ দেশের সংস্কৃতিও বহুত্ববাদ, সহিষ্ণুতা এবং ভিন্নমত পোষণের অধিকারের কথা বলে।’’ 
তবে এই প্রথম নয়, বিদেশি অনুদান আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত কয়েক বছরে একাধিক বার ভারতের তদন্তকারী সংস্থাদের নজরে পড়েছে পড়েছে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া। গতবছরই বেঙ্গালুরুতে তাদের দফতরে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিকরা। সেইসময় ইডি জানায়, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রক তাদের অনুরোধ খারিজ করার পরও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি বাণিজ্যিক সংস্থার মাধ্যমে ৩৬ কোটি টাকার বিদেশি অনুদান গ্রহণ করে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া।
ওই একই সময়ে গ্রিনপিস নামের একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দফতরেও হানা দেয় ইডি। তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আকার পটেল। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘গ্রিনপিস এবং অ্যামনেস্টিতে তল্লাশি চালানো হলেও, শেষ পর্যন্ত কিছুই মেলেনি। আমার মনে হয় ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই হানা দেওয়া হচ্ছে, যাতে মুখবন্ধ করানো যায়।’’


Find out more: