নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী রইল প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। ক্লাসে পড়া না পারলে জিভ দিয়ে চাটতে হল ক্লাসের মেঝে। এই ঘটনায় বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট পুলিশ জেলার অন্তর্গত হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিশপুর পূর্বপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

 ক্লাসে পড়া না পারলে ছাত্রছাত্রীদের জিভ দিয়ে ক্লাসরুমের মেঝে চাটানোর অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এর জেরে আজ দুপুরে স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকরা। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সৌমিত্র রায়। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক ক্ষমা চান ও ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটাবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। প্রায় দুঘণ্টা বিক্ষোভ দেখানোর পর তা বন্ধ করেন অভিভাবকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এলাকার অনেক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, পড়া না পারলে অভিযুক্ত শিক্ষক সৌমিত্র রায় মাঝেমধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ঘরের মেঝে চাটিয়ে শাস্তি দিতেন। সম্প্রতি কয়েকজন ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানির হওয়ার পর ক্ষোভ বাড়তে থাকে অভিভাবকদের মধ্যে। গত শনিবার তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্র পড়া না পারায় একই শাস্তি দেন ওই শিক্ষক। শিক্ষকের ভয়ে জিভ দিয়ে মেঝে চাটতে বাধ্য হয় ওই পড়ুয়া। এরপর বাড়ি পৌঁছে শিক্ষকের এমন আচরণের কথা পরিবারের বলে সে।

আজ সোমবার স্কুল খুললে অভিভাবকরা একত্রিত হয়ে  স্কুলের শিক্ষকদের একটি ঘরে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন৷ অভিযুক্ত শিক্ষকের কড়া শাস্তির দাবি করেন। প্রায় দু'ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে পরে অভিযুক্ত শিক্ষক অভিভাবকদের সামনে এসে ক্ষমা চান। এমন ঘটনা ঘটবে না বলে জানান৷ এবিষয়ে অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেন প্রধান শিক্ষক শুভঙ্কর ঘোষও। এরপরই বন্ধ হয় বিক্ষোভ। তবে এই ঘটনায় পুলিশে কোনো অভিযোগ হয়নি বলে জানান এক পড়ুয়ার অভিভাবক।

Find out more: