সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংবিধান মেনে তৈরি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচার এস এ বোবদে । তবে এই আইনের উপর কোনো স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মামলাটির পরবর্তী শুনানি আগামী ২২ জানুয়ারি হবে বলে জানানো হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষে। এর আগে পর্যন্ত মামলাটি মুলতুবি থাকবে। ওই দিনই শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রকে এই আইন নিয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে।
এদিন প্রধান বিচারপতি বোবদে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালকে মৌখিকভাবে বলেন, কেন্দ্রর তরফে আইনের বিভিন্ন বিষয় বিশদে সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরা হোক। এতে সাধারণ দেশবাসীর বিভ্রান্তি কমতে পারে বলে আশাপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। এক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে গুরুত্ব দিতে পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি। তবে এই আইন করার কারণ এবং তা সাংবিধানিক সম্মত কিনা তা কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুসারে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় কারণে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব অ-মুসলমানরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা শরণার্থী হিসেবে এদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই আইনের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা হয়। নাগরিকত্ব মেলার মাপকাঠি কখনওই ধর্ম হতে পারে না বলে দাবি করা হয়।
নতুন আইনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, অসমে বিজেপি জোট সরকারের শরিক দল অসম গণ পরিষদ এবং ডিএমকে। কংগ্রেসের তরফে প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশের তরফেও একই আর্জি জানানো হয়।

Find out more: