সোমবার নজীরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রের পাশ করা আইন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে রাজ্যপাল মত প্রকাশ করছিলেন । আজ রাজ্যপাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকে যোগ দিতে গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ।
সোমবার দুপুরে যাদবপুরের কোর্ট বৈঠকে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান রাজ্যপাল। তবে প্রাথমিক ভাবে পড়ুয়াদের বাধার মুখে পড়লেও শেষ পর্যন্ত তাঁদের সাহায্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে প্রবেশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পড়ুয়ারাই মানববন্ধন করে তাঁকে যাদবপুরের ভিতরে নিয়ে যান। পড়ুয়াদের দাবি, কোর্ট বৈঠকে রাজ্যপালকে যোগ দিতে দেওয়া হবে, তবে তার আগে তাঁদের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। পড়ুয়াদের কথা শুনে গাড়ির মধ্যে থেকে রাজ্যপাল জানান, তিনি তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। তবে সে সময় তৃণমূলের শিক্ষক ও অশিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা দাবি করতে থাকেন, কোনও ভাবেই রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে প্রবেশ করতে দেবেন না। তাঁর গাড়ি ঘিরেই ফের বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এর পরই মানববন্ধন করে রাজ্যপালকে গাড়ি থেকে নামতে সাহায্য করে পড়ুয়ারা এবং তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ রুমে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এবং সহ–উপাচার্য প্রদীপকান্তি ঘোষ।
যাদবপুরের অন্দরে প্রবেশ করলে তাঁর কাছে খানিকটা সময় চেয়ে নেন পড়ুয়ারা। নিজেদের মধ্যে একটি সাধারণ সভা ডেকে রাজ্যপালের উদ্দেশে প্রশ্নপত্র তৈরি করতে থাকেন পড়ুয়ারা। এক ছাত্রের কথায়, ‘‘এনসিএ এবং সিএএ নিয়ে এ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে আমাদের কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তা তৈরি করার জন্য তাঁর কাছ থেকে মিনিট দশেক সময় চেয়ে নিয়েছি আমরা। রাজ্যপালের জবাবে আমরা সন্তুষ্ট হলেই ভবিষ্যতে তাঁকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে মেনে নেব।’’