কলকাতা বন্দরের ১৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ রবিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক সভার আয়োজন করে কেন্দ্রের জাহাজ মন্ত্রক । এই সভায় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমে কলকাতা বন্দরের নামকরণ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে করেন । তিনি বলেন, কলকাতা বন্দর এ দেশের ইতিহাসে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তার উল্লেখ করেন তিনি। কলকাতা বন্দরের নামকরেণ করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে। মোদী বলেন, “দেশকে বিদেশি শাসনের হাত মুক্তি পেতে দেখেছে এই বন্দর।”
বাংলার মাটি প্রেরণার মাটি। বাংলার জনতার শক্তি আছে। এ বার এই যোজনাগুলো থেকে মানুষকে কেউ বিচ্ছিন্ন করে রাখতে পারবে না। বাংলার মানুষ কী বলতে চাইছেন তা আমি ভাল ভাবেই জানি।
প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধির আওতায় দেশের ৮ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে কেন্দ্রের তরফ থেকে অনেক রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করা হচ্ছে। কলকাতা বন্দরকে দেশের প্রতীক হিসেবে গড়তে হবে।হলদিয়া ও বেনারসের মধ্যে জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ২০২১-এর মধ্যে গঙ্গায় বড় জাহাজ চলতে পারে তার জন্য নদীর গভীরতা বাড়ানোর কাজ চলছে।
দেশের জলপথ নীতি কী ভাবে তৈরি হওয়া উচিত তা নিয়ে অম্বেডকরের মতকে সে সময়ের সরকার গুরুত্ব দেয়নি, বললেন মোদী। মোদী বলেন, “দেশে শিল্পায়ণের প্রণেতা, বাংলার উন্নয়নের স্বপ্ন দেখা এবং গোটা দেশে অভিন্ন বিধানের প্রবক্তা শ্যামাপ্রসাদ মুখেপাধ্যায়ের নামে আমি এই বন্দরের নামকরণ করছি। কলকাতা বন্দর শুধু জাহাজের যাতায়াতের জায়গা নয়। পুরো ইতিহাস এই বন্দরের মধ্যে সমাহিত।মা গঙ্গার সান্নিধ্যে গঙ্গাসাগরের কাছে দেশের জলশক্তির এই ঐতিহাসিক প্রতীকের অনুষ্ঠানে শামিল হতে পারা সৌভাগ্যের বিষয়।