এবার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের চরিত্র গঠন, সুস্থ মন তৈরীর জন্য তাদের গীতা পাঠের উদ্যোগ নিল নদীয়ার মায়াপুরের ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ। ইসকনের চেয়ারম্যান বেণুদারী দাস জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের সুস্থ সবল করে গড়ে তোলার জন্য এবং একজন সঠিক চরিত্রের মানুষ গড়ার জন্য তাঁরা চেষ্টা করছেন। গীতা তার পথ প্রদর্শক। সেজন্যই ছাত্রছাত্রীদের গীতা পড়ার জন্য তাঁরা আবেদন করছেন। সোমবার বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর রথতলা মনোহরদাস বিদ্যালয় এবং ভারতী বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম থেকে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হল গীতা।
স্কুলের শিক্ষিকা কবিতা নন্দী জানিয়েছেন, গীতা কেবল ধর্মগ্রন্থই নয়, গীতা একজনকে প্রকৃত মানুষ তৈরী করে। তাই তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের গীতা পাঠের জন্য উৎসাহিত করছেন। যদিও স্কুলে এভাবে গীতা বিতরণের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করার ঘটনায় ব্যাপক বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
বর্ধমানের এআইডিএসও-র নেত্রী ঝর্ণা কুণ্ডু জানিয়েছেন, এভাবে কখনই সরকারী একটি স্কুলে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের প্রচার করা যায়না। আজ যাঁরা গীতা দিচ্ছেন, কাল কেউ বাইবেল, কোরাণ বা অন্য কোনো ধর্মের গ্রন্থ দিয়ে যাবেন। এই প্রবণতা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। কারণ স্কুল কোনো ধর্ম প্রচারের জায়গা নয়। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা সমস্ত ধর্মের ইতিহাসই জানবে। কিন্তু নির্দিষ্ট একটি ধর্মের গ্রন্থকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দিয়ে রীতিমত অন্যায় করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা এব্যাপারে আন্দোলনে নামবেন। একইসঙ্গে কিভাবে এই অন্যায় কাজটি করা হল সে ব্যাপারেও তাঁরা স্কুল পরিদর্শক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইবেন।
যদিও এব্যাপারে এদিন এই গীতা প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির থাকা ডা. সৌমেন সিংহ রায় জানিয়েছেন, গীতাতে কোনো ধর্মের কথা নেই। একজন সঠিক মানুষ তৈরী হবার নিয়ম রয়েছে। আজকের স্কুল ছাত্র আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাই তাঁরা চান তারা প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠুক। সেজন্যই এদিন ছাত্রছাত্রীদের গীতা পড়ার জন্য তাঁরা উদ্বুদ্ধ করেছেন। এর মধ্যে অন্যায় কিছু নেই।