গত সোমবার শিয়ালদহের একটি ছাপাখানায় কাজ করার সময় রাজা নস্কর নামে ওই যুবকের ডান চোখে পেরেক ঢুকে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।কিন্তু তাকে একটি চোখ হারাতে হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই একটি চোখ হারাতে হয়েছে রাজাকে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রাজার ইউএসজি-সহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়নি। গতকাল শুক্রবার অপারেশনের পর পরিবারকে জানানো হয়, চোখে সংক্রমণের কারণে কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে ডান চোখটি হারাতে হচ্ছে রাজা। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই যুবকের পরিবার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে বাড়ি বছর তেইশের ওই যুবকের। পরিবার জানিয়েছে, রাজাকে গত সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ অপারেশন করে ওই পেরেক বার করেন ডাক্তারবাবুরা। সেই সঙ্গে বলেন সংক্রমণের কারণে চোখের দৃষ্টি হারিয়েছে রাজা।
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল। আল্ট্রা সোনোগ্রাফি বন্ধ থাকায় ওই দিন ইউএসজি করানো যায়নি। এ বিষয়ে তাদের প্রথমে কিছু জানানো হয়নি। পরে তাঁরা জানতে পারেন। অপারেশন দেরি হয়ে যাওয়ার কারণেই রাজার চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি তাঁর পরিজনদের। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা মানতে নারাজ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডিরেক্টর অসীমকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে।’’