“আজকের দিনে দাঁড়িয়ে পুরুষত্বহীনতা বা পুরুষদের বন্ধ্যাত্বকে কখনোই জেনে বুঝে অবহেলা করা উচিত নয়,” বললেন ‘এপোলো গ্লেনেগল্স হসপিটাল’, কোলকাতা শাখার ‘ইউরোলজি’ বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট চিকিৎসক অমিত ঘোষ।
প্রসঙ্গতঃ বলে রাখা ভালো, ‘ম্যাসাচুসেটস মেল এজিং স্টাডি’-র এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৪০ থেকে ৭০ বছর বয়সী পুরুষদের শতকরা ৫২ শতাংশ কোনো না কোনো ভাবে পুরুষত্বহীনতার শিকার।
এই ৫২ শতাংশের মধ্যে শতকরা ১৭ শতাংশের রয়েছে সধারণ সমস্যা, ২৫ শতাংশের রয়েছে মাঝারি সমস্যা আর বাকি ১০ শতাংশ একেবারেই লিঙ্গের উত্থানশক্তিরহিত দশায় ভোগেন।
আজ কোলকাতায় এপোলো গ্লেনেগল্স হসপিটাল চত্বরে পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথম পুরুষত্বহীনতা বা পুরুষ বন্ধ্যাত্বজনিত চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ অমিত ঘোষ বলেন, “মনস্তত্ত্ব সহ বিভিন্ন হৃদরোগ জনিত (কার্ডিও ভাস্কুলার ডিজিজ, হাইপার টেনশন), মধুমেহ (ডায়াবেটিস), শ্রোণীদেশে বড়োধরণের শল্য চিকিৎসা, রেডিওলজি সমস্যার পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্রের নানান সমস্যা (একাধিক কেন্দ্রীয় শিরা উপশিরা অতিরিক্ত শক্ত হয়ে যাওয়া, পার্কিনসন, টিউমার, স্ট্রোক, শিরদাঁড়ার রোগ, পেরিফেরাল টি২ ডিএম, স্নায়ু দুর্বলতা), এনাটমি সংক্রান্ত সমস্যা (পেরোনিজ, লিঙ্গ ফ্রাকচার, জন্মাবধি বাঁকা পুরুষাঙ্গ) প্রভৃতি একাধিক কারণে আজকের দিনে পুরুষরা বেশি করে পুরুষত্বহীনতার শিকার হচ্ছেন। ভেঙে যাচ্ছে হাজার হাজার পরিবার।”
পুরুষদের এই জাতীয় সমস্যায় আশার আলো জ্বালিয়ে নতুন চিকিৎসা উপাচার নিয়ে এসেছে কোলকাতার এপোলো গ্লেনেগল্স হসপিটাল।
“পুরুষত্বহীনতা ও পুরুষ বন্ধ্যাত্ব নির্মূল করার জন্য এই মুহুর্তে এই হাসপাতালে বেশ কিছু শল্য চিকিৎসারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উত্থানশক্তিরহিত পুরুষাঙ্গে কিছু প্রবেশ করিয়ে একদিকে যেমন তাকে দৃঢ় করা হচ্ছে, তেমনি শুক্রনালীর শিরা সংশোধন, অণ্ডকোশ থেকে ইউরেথ্রা পর্যন্ত বীর্যবহনকারী নালীর বাঁধা অপসারণ, বাঁকা পুরুষাঙ্গ সোজা করার মতো একাধিক ছোটো বড়ো শল্য চিকিৎসা হবে এই হাসপাতালে,”বলে জানিয়েছেন এই হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের অপর কনসালট্যান্ট ডাঃ অতনু জানা।