গত আট বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে নজরকাড়া কাজ করেছে, তার মধ্যে অন্যতম সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা৷ আগামিদিনেও যে সেই কাজে কোনও বিরতি ঘটবে না, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল৷
সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পেশ করা হয়েছে ২০২০-২১ আর্থিক বছরের বাজেট৷ ওই অর্থবর্ষে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হল মমতার সরকারের তরফে৷ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় জানান, এবার স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হল ১৫০০ কোটি টাকা৷
আরও পড়ুন: মমতার ‘সোনার বাংলা’য় শেষ অমিতের বাজেট ভাষণ
চলতি ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের জন্য ৯,৫৫৭ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছিল৷ গতবারের বাজেট ভাষণে সেকথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী৷ এবার তিনি জানালেন, ওই বরাদ্দ বেড়ে হল ১১১০২ কোটি টাকা৷
প্রসঙ্গত, বাম জমানার শেষদিকে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির দশা বেহাল হয়ে গিয়েছিল৷ গরিব মানুষেরা সেখানে চিকিৎসার আশায় যেতেন বটে! তবে পরিষেবা একেবারেই নামমাত্র ছিল৷ তার উপর প্রতিটি হাসপাতালই অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকত৷
আরও পড়ুন: কোথায় গেল আচ্ছে দিন, মোদীকে প্রশ্ন অমিতের
এখনই সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মেলে৷ পরিষেবার মানও আগের তুলনায় অনেক ভালো৷ এছাড়া এখন সরকারি হাসপাতালগুলি আগের তুলনায় অনেক স্বচ্ছ৷
একই সঙ্গে জেলায় জেলায় গড়ে উঠেছে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল৷ তার জেরে প্রান্তিক মানুষ অনেক বেশি চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন৷
আরও পড়ুন: বাংলার বাজেট: একনজরে দেখে নিন মমতার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাগুলি
আর এই কাজ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছেন বারেবারে৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯, পরপর ন’টি বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বেড়েছে ১০ গুণ৷
বাম জমানার শেষে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৯০০ কোটি টাকা৷ ২০২০ সালে সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াল ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি৷ যা আগের তুলনায় প্রায় ১১ গুণ৷
আরও পড়ুন: বিধানসভায় বাজেট পেশ অর্থমন্ত্রীর অমিত মিত্রর