মোবাইলে বন্দি শৈশব। আজকাল এই ছবি তো ঘরে ঘরে দেখা যায়। মোবাইল ছাড়া শিশু খেতে বসেছে, তা এখন প্রায় বিরল দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তাছাড়া মাঠে খেলার তুলনায় শিশুরা ঘরে বসেই মোবাইল-ল্যাপটপে নিজেদের ব্যস্ত রাখতে ভালোবাসে৷
এতে যদিও ওই শিশুর কোনও দোষ নেই৷ কারণ, ব্যস্ত মা-বাবা সন্তানকে আজকাল ওই মোবাইল দিয়েই ভুলিয়ে রাখতে চান৷ আর যা ক্রমশ শিশুদের বদভ্যাসে পরিণত হয়৷ পরে সেই অভ্যাস শোধনোর চেষ্টা করলেও, তা আর সম্ভব হয়ে ওঠে না৷
আরও পড়ুন: বাঁচতে চেয়ে সাহায্যের আবেদন ক্যানসার আক্রান্ত যুবকের
কিন্তু এভাবে মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে৷ ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় দ্বিগুন। একজন পূর্ণবয়ষ্ক মানুষের জন্যই যেখানে মোবাইল ফোন ভয়ঙ্কর হতে পারে। সেখানে একটা শিশুরপক্ষে তা কতটা ক্ষতিকর, তা সহজেই আন্দাজ করা যায়৷
ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলের সঙ্গে লেগে থাকা একটা শিশুর মস্তিষ্ক ও শারীরিক বিকাশ ঠিক মতো হয় না৷ দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হতে পারে৷ দিনভর মাথাব্যাথা, খাবারে অরুচির মতো সমস্যা যেমন হয়, তেমনই দিনভর মোবাইল ঘেঁটে ভুল সঙ্গে পড়া কিংবা অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা পরিষেবার মান অটুট রাখতে বরাদ্দ বাড়াল মমতার সরকার
সবসময় মাথায় রাখবেন, একটা শিশু কিন্তু তার ভালোমন্দ বিচার করতে পারে না। সে নিজেই জানে না যেটা করছে, তার ফল কী হতে পারে। ফলে মা-বাবার অজান্তে অনেক সময় শিশুরা ভুল পথে পা বাড়ায়৷
তাই সব মা-বাবারই উচিত এখন থেকে সতর্ক হওয়া৷ আর মোবাইল-ল্যাপটপ-ট্যাব থেকে শিশুকে যতটা সম্ভব দূরে রাখা৷ আর যদি কোনও প্রয়োজনে দিতেই হয়, তাহলে এর উপর সঠিক নজরদারি করা৷ যাতে শিশুটি প্রযুক্তির অপব্যবহার না করতে পারে৷

Find out more: