করোনার থাবা পড়েছে আমেরিকাতেও। মৃত্যুর সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। গত শনিবার ওয়াশিংটনে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯। আক্রান্তের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। নিউ ইয়র্কে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ইতিমধ্যেই সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করেছে প্রশাসন।

 

ওয়াশিংটনে যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা কিং কাউন্টির বাসিন্দা। প্রশাসন সূত্রে খবর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই কিং কাউন্টিতেই সবচেয়ে বেশি থাবা বসিয়েছে করোনা। সংক্রমণ ছড়িয়েছে পাশ্ববর্তী শহর কির্কল্যান্ডেও। অন্য দিকে, শুক্রবার ফ্লোরিডায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের।

 

নিউ ইয়র্ক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো জানিয়েছেন, শনিবার নতুন করে ১৩ জন সংক্রামিত হয়েছেন। করোনার প্রভাবে দৈনিক জীবনযাপনও ব্যাহত হচ্ছে। খুব প্রয়োজন না হলে রাস্তায় বেরোচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। পড়ুয়াদের বাড়ি থেকেই অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সংক্রমণের ভয়ে বিভিন্ন জনসভা, অনুষ্ঠান বাতিল করা হচ্ছে প্রতি দিন।

 

 

ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টি প্রদেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড, ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া। কানসাস, মিসৌরিতে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশ ও স্থানীয় প্রশাসনের রিপোর্ট বলছে, গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০০ জন।

 

সান ফ্রান্সিসকোর উপকূলে আটকে থাকা জাহাজ গ্র্যান্ড প্রিন্সেস-এ প্রায় তিন হাজার জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। ওই যাত্রীদের মধ্যে ২১ জনের দেহে ভাইরাস মিলেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। শুক্রবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, গ্র্যান্ড প্রিন্সেস-এ যে সব যাত্রী রয়েছেন, তাঁরা সেখানেই থাকুন। তাঁদের জন্য আমেরিকার মাটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাডুক, এটা আমি চাই না।”

 

 

Find out more: