এবার এক ৩ বছরের শিশুর দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ল। মা-বাবার সঙ্গে গত ৭ মার্চ ইতালি থেকে দুবাই হয়ে দেশে ফিরেছিল শিশুটি। কোচি বিমানবন্দরে ডাক্তারি পরীক্ষায় তার শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এই মুহূর্তে এর্নাকুলাম মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলছে তার। তাঁদের শরীরেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না জানতে শিশুটির মা-বাবাকেও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তাঁরা।
এই নিয়ে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০-এ গিয়ে পৌঁছল। রবিবারই কেরলে একই পরিবারের পাঁচ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে, যার মধ্যে তিন জন সম্প্রতি ইতালি থেকে ফিরেছেন বলে জানা গিয়েছে। বিদেশ ফেরত সকলের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কেরলের সমস্ত বিমানবন্দরেই ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু তাঁরা যে ইতালি থেকে ফিরছেন, আক্রান্ত তিন জন বিমানবন্দরে তা খোলসা করেননি বলে দাবি করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা।
রবিবারই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বছর তেত্রিশের এক যুবকের মৃত্যু হয়। তার এক দিন আগেই সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন জিনারুল হক নামের ওই যুবক। ডায়াবিটিস মেলিটাসে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি জ্বর, হাঁচি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টের লক্ষণ থাকায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
তবে জিনারুল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলে জানা গিয়েছে। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবার সেই রিপোর্সেট সামনে আসেছে। তাতে জিনারুলের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি।