এর আগে বাঁকুড়ার সল্টলেকে দেখা গিয়েছিল জলের ট্যাঙ্ককে তাসের ঘরের মত হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়তে। এবার সেই একই চিত্র দেখা গেল সল্টলেকের সিসি ব্লকে, একটি কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসনের ভিতরে। কাছাকাছি ছিলেন পাম্প অপারেটরেরা। ঘটনাস্থলের কাছেই মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করছিলেন স্থানীয় পুরসভার কর্মীরা। কিন্তু জলাধারটি ফাঁকা জায়গায় ভেঙে পড়ায় বড় কোনও অঘটন ঘটেনি।
ঘটনার পরে সেখানে পৌঁছন বাসিন্দারা, স্থানীয় কাউন্সিলর তুলসী সিংহরায়, পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা। পরে যান বিএসএনএল এবং ডাক ও তার বিভাগের আধিকারিকেরা। পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও। তাঁরা জলের জোগান থেকে শুরু করে অন্য সমস্যার সমাধানের জন্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে বিএসএনএল এবং ডাক ও তার বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে ফোনেও কথা বলেন দমকলমন্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আগে ধসে পড়েছিল সিঁড়ি। এখন মাঝেমধ্যেই চাঙড় ভেঙে পড়ে। দু’টি জলাধারেরও দেখভাল করা হয় না। বারবার কর্তৃপক্ষকে জানালেও কাজ হয়নি। বাসিন্দারা জানান, ১৯৭৬ সালে তৈরি ওই দু’টি জলাধার থেকে আবাসনের ৮৮টি বহুতলে জল সরবরাহ হয়। ২০০৮ সালে একটি জলাধার মেরামত করা হয়েছিল। যে জলাধারটি ভেঙে পড়েছে সেটি মেরামত করা হয়নি। দু’টি জলাধারে ৩৩ হাজার গ্যালন জল ধরে। আবাসন সমিতির এক কর্তা গোপালপ্রসাদ গণ্ড জানান, আবাসনের সব পরিকাঠামোর অবস্থাই শোচনীয়। ঘটনার পরে জলসঙ্কটের আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। তবে এ দিন বিধাননগর পুরসভা সেখানে চারটি জলের ট্যাঙ্কার পাঠিয়েছে।