করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় বিপর্যস্ত পুরো পৃথিবীর সাথে আমাদের দেশও। একাধারে রোগের সংক্রমণ অন্যদিকে লকডাউনের জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত এমনকি প্রানহানিও ঘটছে। এমতাবস্থায় দেশবাসীর উদ্দেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলিউডের একাধিক তারকা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তাঁরা ডোনেট করছেন। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফান্ডে দান করেছেন করিনা কপূর খান, আলিয়া ভট্ট, শিল্পা শেট্টি কুন্দ্রা, ক্যাটরিনা কাইফ, বরুণ ধওয়নের মতো প্রতিষ্ঠিত তারকা থেকে শুরু করে ভিকি কৌশল, কার্তিক আরিয়ান, সারা আলি খান সহ নতুন প্রজন্মের তারকারাও। ডোনেশনের পরিমাণ অবশ্য বিভিন্ন। যেমন শিল্পা ২১ লক্ষ, বরুণ ৩০ লক্ষ টাকা দিলেও কার্তিক ও ভিকি এক কোটি টাকা করে ডোনেট করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত অক্ষয়কুমারই সর্বাধিক ২৫ কোটি টাকা দান করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডে।
অন্য দিকে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস দেশের মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন। একই সঙ্গে ইউনিসেফ, ফিডিংআমেরিকা, গুঞ্জ, ডক্টরসউইদাউটবর্ডারস, নোকিডহাংরির মতো প্রায় ১০-১২টি ফান্ডে দান করেছেন। বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসতে বলেছেন অভিনেত্রী। প্রিয়ঙ্কার কথায়, কোনও দানই এখন কম নয়। সকলে একসঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তবেই এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। শিল্পার কণ্ঠেও একই সুর। শিল্পাও দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন দান করার জন্য। বলেছেন, বিন্দু বিন্দু জলেই কিন্তু সিন্ধু হয়।
তবে ত্রাণ তহবিলে টাকা না দিলেও অন্য ভাবে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন সলমন খান। এমনিতেও দাতা হিসেবে সলমনের নাম চিরপরিচিত। এ বার ইন্ডাস্ট্রির প্রায় ২৫০০০ ডেলি ওয়েজ ওয়ার্কারকে অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করার দায়িত্ব নিলেন সলমন। অভিনেতার ‘বিয়িং হিউম্যান’ ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে এই ২৫০০০ জন ওয়ার্কারের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হবে বলে তিনি জানালেন। তার জন্য তাঁদের অ্যাকাউন্ট ডিটেলও জোগাড় করতে শুরু করেছে তাঁর ফাউন্ডেশন। ডেলি ওয়েজ ওয়ার্কারদের জন্য রোহিত শেট্টিও ৫১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ়কে।
শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীই নন, ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই এগিয়ে এসেছেন এই অসময়ে। ভূষণ কুমার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১১ কোটি টাকা ও ফ্যাশন ডিজ়াইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় এক কোটি টাকা তুলে দিলেন।