লকডাউন নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল যে সময়সীমা আরও বাড়তে পারে, কিন্তু সেই গুজবকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। ভিডিও কনফারেন্সে ইঙ্গিত তেমনই যদিও তার জন্য লকডাউনের পরের পরস্থিতি মোকাবিলার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে একমুখী নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছকে রাখার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফের যাতে করনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ‘যুদ্ধকালীন তৎপরতা’য় কাজ করার কথাও মোদী মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর। আলোচনা হয়েছে নিজামউদ্দিনের পরিস্থিতি নিয়েও। তবে কেন্দ্রীয় অনুদান বাড়ানোর আর্জি জানালেও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি বলে অভিযোগ কয়েক জন মুখ্যমন্ত্রীর।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গত ২৪ মার্চ সারা দেশে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যে এক সপ্তাহ পার হয়েছে। এখনও সংক্রমণ বাড়ছে। তার জেরে সারা দেশে উদ্বেগ ছড়িয়েছে যে লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতেই আজ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন ৯ জন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-সহ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলির শীর্ষ আমলারা। তবে সেখানেও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেই হয়েছে বৈঠক।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছেন, ‘‘(লকাডউনের পরে) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যাতে ফের ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি যৌথ পরিকল্পনা তৈরি করা জরুরি।’’ বৈঠক সূত্রে খবর, মোদী বলেছেন, লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেই আগেকার মতো সব কিছু গতানুগতিক চলতে শুরু করল, এমনটা হতে দেওয়া যায় না। বরং তার পরেও কিছু নিয়ন্ত্রণ বা সতর্কতা নিতে হবে।