প্রথমেই সবকিছু অগ্রাঝ্য করে জনসমাবেশ, তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অশালীন আচরনের অভিযোগ উঠে আসছে নিজামুদ্দিন ফেরতদের বিরুধ্যে। জানা যাচ্ছে গাজিয়াবাদের হাসপাতালে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তবলিগি জামাতের সদস্যরা এবং নার্সদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছেন। পুলিশের কাছে এই অভিযোগ দায়ের করলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবলিগ-ফেরত লোকজনকে যে সব জায়গায় কোয়রান্টিন (নিভৃতবাস)-এ রাখা হয়েছে, সেখানে পুলিশ মোতায়েন করার নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ) প্রয়োগ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ।
মার্চের মাঝামাঝি দিল্লির মরকজ নিজামুদ্দিনে তবলিগি জামাতের যে ধর্মীয় সমাবেশ হয়েছিল, তা এখন করোনা আতঙ্কের অন্যতম ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। মরকজ থেকে যাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যেই করোনার উপসর্গ দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তবলিগ-ফেরতদের খুঁজে বার করে নিভৃতবাসে পাঠাতে রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। আর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে খালি করে দেওয়া হয়েছে মরকজ নিজামুদ্দিন।
এমএমজি হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্র সিংহ পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন যে, ওই তবলিগিরা জামাকাপড় পরছেন না, নগ্ন অবস্থায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নার্সদের দেখলে অশালীন মন্তব্য করছেন। সাস্থ্যকর্মীদের কাছ থেকে বিড়ি বা সিগারেট চাইছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩১ মার্চ ওই তবলিগিদের ভর্তি করা হয়েছিল। শুরু থেকেই নার্স এবং অন্য কর্মীরা অসহযোগিতার অভিযোগ করছিলেন। পরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্র সিংহ নিজেও ওই রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন বলে খবর। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। নার্সদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করা হয়েছে, তাঁদের উপরে ‘অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ’ হয়েছে এবং এমন আচরণ করা হয়েছে যাতে নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে— পুলিশকে এমনই জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মরকজ-ফেরত তবলিগিদের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ উঠেছে। যে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন, তাঁদের গায়ে থুতু ছেটানোর অভিযোগ সামনে এসেছিল প্রথমে। এ বার হাসপাতালে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানো এবং নার্সদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ উঠল।