তবলিগী জামাতের সদস্যদের বিরুধ্যে এবার আরও কঠিন হওয়ার সিধান্ত নিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। গাজিয়াবাদের হাসপাতালে নার্সদের ও ডাক্তারদের সাথে অশালীন আচরনের পর যোগী আদিত্যনাথের সরকার তবলিগি জামাতের সদস্যদের চিকিৎসার দায়িত্ব থেকে মহিলা চিকিৎসাকর্মীদের সরিয়ে দিয়েছে। তৎপর হয়েছে কেন্দ্রও।
গত কাল মধ্যপ্রদেশের ইনদওর, বিহারের মুঙ্গেরে করোনা-আক্রান্ত জামাত সদস্যদের খুঁজতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন চিকিৎসকেরা। ইট, পাথর ছোড়া হয় তাঁদের উদ্দেশে। এ সবের পুনরাবৃত্তি রুখতে কেন্দ্র আজ সব রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, যারা করোনায় আক্রান্ত, রোগীর চিহ্নিতকরণ ও তাদের চিকিৎসার প্রশ্নে কোনও ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তবলিগি জামাতের সদস্যদের বিরুদ্ধে আজ অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। মসজিদ থেকে বার করে বাসে তোলার সময়ে ওই জামাত সদস্যরা থুতু ছিটিয়েছিলেন। সে দিনের উদ্ধারকারী পুলিশকর্মীদের বেশ কয়েক জনকে কোয়রান্টিনে পাঠাতে হয়েছে। তাঁদের পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত ওই জামাত সদস্যরা দিল্লির একটি হাসপাতালেও থুতু ছিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কাল দিল্লি সংলগ্ন গাজিয়াবাদের এমএমজি হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্র সিংহ কোতওয়ালি ঘণ্টাঘর থানায় অভিযোগ জানান, তাঁদের হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি তবলিগি জামাত সদস্যরা হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করে চলেছে। সর্বোপরি এদের কারণে চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যেও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করে যোগী প্রশাসন। ওই হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা ছ’জনের মধ্যে পাঁচ জনকেই আজ সকালে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রবীন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘শুরু থেকেই ওরা কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছিল। আমি ব্যক্তিগত ভাবে দলটির সঙ্গে কথা বলি। তাতেও কাজ হয়নি। অসভ্যতা চলতে থাকায় হাসপাতালের কর্মীরা কাজ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। তার পরেই পুলিশে লিখিত অভিযোগ করতে বাধ্য হই আমরা।’’ গাজিয়াবাদ পুলিশ আজ ধৃতদের বিরুদ্ধে মারপিট, মহিলাদের উপর হামলা, অশ্লীলতা ও সংক্রমণ ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘‘এরা মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যা করেছে, তা জঘন্য অপরাধ। আমরা জাতীয় সুরক্ষা আইন (এনএসএ)-এ অভিযোগ আনব।’’