দিন দশেক আগে থেকেই করোনার উপসর্গ ধরা পড়েছিল তাঁর শরীরে, তারপর থেকেই আইসোলেসনে থেকেই নিজের যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালনা করছিলেন তিনি। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। তাঁকে ইন্টেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়েছে। তবে এখনও সরকারি দায়িত্ব থেকে প্রধানমন্ত্রী অব্যাহতি নেননি বলে জানিয়েছেন বরিসের মন্ত্রিসভার এক সদস্য। জ্বর না-কমায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ৫৫ বছর বয়সি জনসনকে বেশ কিছু পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি ১০ ডাউনিং স্ট্রিট সূত্রে।
জনসন হাসপাতালে থাকলে সরকারের দায়িত্ব কে সামলাবেন— প্রশ্ন উঠতেই ওই মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এখনও সব দেখছেন, পরীক্ষাগুলো হয়ে গেলে দ্রুত ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরবেন। বরিসের আরোগ্য চেয়ে বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, “সব মার্কিন নাগরিক ওঁর জন্য প্রার্থনা করছেন। উনি আমার খুব ভাল বন্ধু, ভাল মানুষ এবং এক জন ভাল নেতা।”
তবে অসুস্থতা সত্ত্বেও বরিসের কাজ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, “উনি পুরোপুরি সুস্থ নন। এখন ওঁর সে দিকেই মন দেওয়া উচিত। তা ছাড়া, করোনা সঙ্কটের মধ্যে কাজটাও এখন যথেষ্ট কঠিন।” ব্রিটেনে এখন কোনও উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ নেই। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের আমলে নিক ক্লেগ ওই পদে ছিলেন। আপাতত বরিসের মন্ত্রিসভার সদস্য মাইকেল গোভ অথবা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককের মধ্যে কোনও এক জনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বলে খবর।