মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকার গড়তে পারবে কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে । তবে জানা গেছে , আজ উদ্ধব ঠাকরে সঙ্গে দেখা করতে গেছেন দেবেন্দ্র ফরেণবীশের প্রতিনিধি । মাতশ্রী হাউসের এই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যবাসী ।
এদিকে, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত কয়েক দিন ধরে বলে আসছে তাদের কাছে সরকার গড়ার বিকল্প পথ । সেই পথ কী তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সঞ্জয় রাউত । তবে আজ এনসিপি নেতা নবাব মালিক সাংবাদিকদের বলেছেন , “জনগণের স্বার্থে শিবসেনা যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, বিকল্প রাস্তা খোলা আছে। এবং এনসিপি সে ক্ষেত্রে ‘সদর্থক ভূমিকা’ নিতে পারে।” পাশাপাশি তিনি এই বার্তাও দিয়ে রাখেন, উদ্যোগটা কিন্তু শিবসেনার তরফ থেকেই আসতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে যদি কোনও সমাধানসূত্র না বেরোয়, তা হলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে— শুক্রবার এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সুধীর মুনগন্টীওয়ার। এ প্রসঙ্গে এনসিপি নেতা মালিকের বক্তব্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনেই তাঁদের দল রাজ্যকে সঠিক দিশা দেখাবে। তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শ্বাসরুদ্ধ হতে দেব না। রাজ্যকে আমরা বিকল্প সরকার দিতে প্রস্তুত। কিন্তু শিবসেনা এবং অন্য দলগুলোকে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে হবে।”
যদিও শিবসেনার তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে আজ্ও সমানভাবে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত । তিনি ওয়ালিম বেরলভির কবিতার একটি লাইনকে উদ্ধৃত করে ফের বিজেপিকে নিশানা করেছেন সেনার সঞ্জয় রাউত। বলেছেন, “নীতির উপর যখন আঘাত আসবে, তখন প্রত্যাঘাত করাটা জরুরি। শুধু বেঁচে থাকা নয়, সেই বেঁচে থাকাটাও কখনও কখনও দেখানো প্রয়োজন।”
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নে তাঁরা যে কোনও আপসের রাস্তায় যাবেন না, এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। সঙ্গে এই হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন, বিজেপিকে ছাড়াই তারা সরকার গঠন করতে পারে।
আর এই সুযোগকে কাজিয়ে লাগিয়ে ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার চেষ্টা করছেন শরদ পাওয়ার । ৪ নভেম্বর সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে শরদ পাওয়ারের বৈঠক আছে , সেই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয় তা দেখার ।