ভয়ঙ্কর থেকে অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে ‘বুলবুল’। শক্তি বাড়িয়ে আরও বড় আকার ধারণ করে এ রাজ্যের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দিকে বাঁক নিয়েছে অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, শনিবার রাতেই তা আঘাত হানবে স্থলভাগে। আশঙ্কা বাড়ছে,বুলুবুল কোথায় গিয়ে আছড়ে পড়বে তা নিয়ে। আজ রাতে কি তবে সাগরদ্বীপে ছোবল মারতে চলেছে বুলুবুল? না কি আরও সরে গিয়ে আছড়াবে খেপুপাড়ার কাছে? এখনও নিশ্চিত ভাবে কিছু বলছেন না আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। সাগরদ্বীপ থেকে খেপুপাড়ার মধ্যে তার বিস্তার থাকলেও দিল্লির মৌসম ভবন কিন্তু জানাচ্ছে, বুলবুল আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে এ রাজ্যের সুন্দরবন এলাকায়।
শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে তা ক্রমশই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের অনুমান, শনিবার রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে সাগরদ্বীপ থেকে বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান বিভাগের ঘূর্ণিঝড় বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘুর্ণিঝড় অনেকটা জায়গা জুড়ে আঘাত হানে। বুলবুলও অনেকটা জায়গা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়বে। এখনও পর্যন্ত যা গতি প্রকৃতি বোঝা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে সুন্দরবন এবং তার আশপাশেই বুলবুলের আছড়ে পড়বে।”
ইতিমধ্যেই দিঘা এবং সাগরদ্বীপের অনেক কাছে চলেছে বুলবুল। দুপুর দুটোর সময় ওই দুই জায়গা থেকে বুলবুল মাত্র ৯৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। কলকাতা থেকে তার দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকেও বুলবুলের দূরত্বও কমে হয়েছে ৪৮৫ কিলোমিটার। বুলবুল আরও কাছে চলে আসায় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগও ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সমুদ্রে বুলবুলের গতিবেগ বেশি থাকলেও, স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় তার গতি কমবে। কিন্তু যে ভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বুলবুল, তাতে মনে করা হয়েছে স্থলভাগে আছড়ে পড়লেও, গতি হবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। শেষ মুহূর্তে যদি শক্তি বৃদ্ধি পায়, তা হলে ১৩৫ কিলোমিটার গতিতেও তা পৌঁছে যেতে পারে।