একে করোনার আতঙ্ক তার ওপরে চলছে লকডাউন। জনজীবন প্রায় স্তব্ধ। এরই মাঝে মঙ্গলবার রাত থেকে শুশুনিয়া পাহাড়ে দাউ দাউ করে বহ্নিশিখা শুরু হয়েছে। যদিও বিকেল পর্যন্ত আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না এলেও, স্বস্তির খবর ওই অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বনকর্মীরা মনে করছেন বৃষ্টির জেরে দ্রুত আগুন নিভে যেতে পারে।
মঙ্গলবার রাতে আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন ছাতনা থানায়। তার পর আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। অনেক জায়গায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কিছু জায়গায় এখনও আগুন জ্বলছে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে মঙ্গলবার পাহাড় ও সংলগ্ন জঙ্গলে আগুন জ্বলছে ও ধোঁয়া বার হতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তার পর গ্রামবাসী ও সেখানকার বিজ্ঞানকর্মীরা খবর দেন ছাতনা থানায়। পুলিশ, দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। বনবিভাগের কর্মীরাও জঙ্গলের ভিতর আগুন নেভানোর কাজ করেন। তাঁদের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এখনও কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছে। তবে কী করে আগুন লাগল সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। কী করে আগুন লাগল তা, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক জয়দেব চন্দ্র ওই ঘটনা নিয়ে বলেছেন, ‘‘মঙ্গলবার গ্রামবাসীদের থেকে শুশুনিয়ায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ছাতনা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। গ্রামবাসীদের সহায়তায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। এই পাহাড়ে বিভিন্ন ধরনের জীব, জন্তু, সাপ, পাখির বাস। আগুনের জেরে তাদের প্রাণহানির আশঙ্কা আছে। তাই আগুন যাতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে সেই চেষ্টা চলছে।’’