করোনা মহামারী মোকাবিলায় সারা বিশ্ব লড়ছে। তবে এই মহামারীর মোকাবিলায় অন্যতম সেফ গার্ড ফেস মাস্ক। এবার সেই ফেস মাস্ক তৈরি করল গবেষণা সংক্রান্ত কাজে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সঙ্গে যুক্ত বিবস্বান সেন। বিবস্বানের কথায়, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আমি এই ফেস মাস্ক তৈরি করেছি। কীভাবে তৈরি করা হয়েছে ? প্রশ্নের উত্তরে বিবস্বান জানায়, মূলত কলাগাছের তন্তুকে বিশেষ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে এই ফেস মাস্ক তৈরি করা হয়েছে। একেবারেই ঘরোয়া ল্যাবরেটরি প্রক্রিয়ায়। এই মাস্কটির ডায়ামিটার ১০০ থেকে ১১০ ন্যানোমিটারের মধ্যে। ফলে বাতাস চলাচল করতে পারে। কিন্তু বাতাসে মিশে থাকা ধূলিকণা তথা বিশেষ করে সম্প্রতি মানবজাতির ত্রাস করোনা ভাইরাসে যেতে পারে না। মোট কথা পার্টিকেল চলাচলের করতে পারে না।  

এটির উৎপাদন ব্যয়ও খুব কম। বর্তমানে এর কনডিশন যা আছে তাতে কুড়ি থেকে পঁচিশ বার এটি স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করা যায়। আর সবচেয়ে বড় সুবিধা খুব সহজেই ডিসপোজেবল হয়ে যায়। এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই ডিসপোজেবল হয়ে যায়। ফলে পরিবেশ দূষণ কমে।

বিবস্বানের সঙ্গে এই মাস্ক তৈরিতে সাহায্য করেছে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের গবেষক ছাত্রী সায়ন্তনী পাল। সহায়তা করেছেন, কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সেক ইমরান আলি। গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, আরও দুই জন। ওড়িশার সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞানের অধ্যাপক সূর্য্য নারায়ন প্রধান ও ভারত সরকার জাতীয় জীবিকা মিশনের জাতীয় কৃষি উপদেষ্টা কাঞ্চন কুমার ভৌমিক। 

Find out more: