যাবেন কীভাবে ?
আপনি যদি নিজের গাড়ি বা গাড়ি বুকিং করে যেতে চান তাহলে কলকাতা থেকে গাড়িতে ৫ ঘণ্টায় পুরুলিয়া পৌঁছনো যায়। কলকাতা থেকে সড়ক পথে দিল্লি রোড ধরে দুর্গাপুর বা আসানসোল হয়ে পৌঁছনো যায় পুরুলিয়া শহরে।
ট্রেনে যেতে চইলে, হাওড়া থেকে চক্রধরপুর এক্সপ্রেস ধরলে রাতে ট্রেনে উঠে ভোর বেলা নামতে পারবেন পুরুলিয়া। একই ট্রেনে ফিরতেও পারবেন। ফেরার ট্রেন পুরুলিয়া জংশন থেকে ছাড়ে রাত্রিতে। হাওড়ায় আসে ভোর চারটে নাগাদ।
আর বাসে যেতে চাইলে, ধর্মতলা থেকে প্রতি দিন বেশ কিছু বাস পুরুলিয়া যায়।
থাকবেন কোথায়?
ট্যাক্সি স্ট্যান্ড বা পোস্ট অফিসের কাছে হোটেল নিলে গাড়ি পেতে সুবিধা হবে। সুবিধা হবে খাবারের জায়গা পেতেও। জয়চণ্ডীতে থাকতে চাইলে কাছেই রয়েছে সরকারি গেস্ট হাউস।
কী কী দেখবেন ?
১) পুরুলিয়ার অন্যতম আকৰ্ষণ জয়চণ্ডী পাহাড়। এই পাহাড়ে সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবির শুট্যিং হয়েছিল। পাহাড়ের উপরে রয়েছে জয়চণ্ডী মন্দির ও বজরং মন্দির। ৫০০ টির বেশি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হয়।
২) মহারাজা নীলমণি সিংহ দেও কাশীপুর রাজবাড়িটি তৈরি করেন। ঐতিহাসিক এই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে হলে দুর্গাপুজোর সময় যেতে হবে। অন্য সময় এখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। মাইকেল মধুসূদন দত্ত এক সময় এই রাজবাড়িতে চাকরি করতেন।
৩) গড়পঞ্চকোট যেতে পারেন। আসলে এটি পুরুলিয়ার পুরোনো রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ। এখানে বেশ কিছু মন্দির রয়েছে। শোনা যায় এই মন্দিরগুলি বর্গী আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তবে এখনও বেশ কিছু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আছে।
৪) অযোধ্যা পাহাড় তো মূল আকর্ষণের কেন্দ্র। ১৪ বছরের বনবাসকালীন সময়ে রাম-সীতা পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে ছিলেন বলে কথিত আছে। লোকের মুখে এমন বহু টুকরো টুকরো কল্পকাহিনী শোনা যায়। কথিত আছে সীতা তৃষ্ণার্ত হওয়ায় অযোধ্যায় তির নিক্ষেপ করে জল বের করা হয়েছিল। সেই সজল পান করেছিলেন সীতা। তাই পাহাড়ের ওই এলাকার নাম সীতাকুণ্ড।