মনে পড়ে সেই ঝাঁকড়া চুলের মুক বধির দৃষ্টিহীন একরোখা মেয়েটার কথা? যে শুধুমাত্র অদম্য মনের জোরে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছিল।পর্দায় সেই চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছিল আয়েশা কাপুর, সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘ব্ল্যাক’ ছবিতে ২০০৫ সালে।তাঁর নিখুঁত কাজ দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে ওটা ওঁর প্রথম বড় পর্দার কাজ।

আয়েশার প্রতিভাকে বিস্ময়কর বলেছিলেন পরিচালকেরা।১৯৯৪ সালের ১৩ ই সেপ্টেম্বর তাঁর জন্ম।এক মিশ্র পরিবেশে তিনি মানুষ।বাবা দিলিপ কাপুর ব্যবসায়ী। চামড়ার ব্যাগের এক নামী কোম্পানির মালিক তিনি।মা জ্যাকলীন জার্মানির মেয়ে।জ্যাকলীনের প্রথম বিয়ের সন্তান আকাশ ও বিকাশের সাথেই আয়েশা বড় হয়েছেন।

‘ব্ল্যাক’ এর পরে ‘সিকন্দর’ নামে আরও একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।সেই দিনের মেয়েটা আজ ২৪ বছরের তরুণী।পুদুচেরির অরভিল এ তাঁর বসবাস। তবে প্রায়ই ভিনদেশে তাঁকে উড়ে যেতে হয় নিজস্ব ব্যাবসার কাজে।‘আয়েশা আক্সেসরিজ’ আজ নামী দামী বিপণনী তে পরিচিত নাম।মূলত মায়ের উৎসাহেই তাঁর ব্যাবসায় আসা।নারী পুরুষ সকলের জন্য আক্সেসরিজ তৈরি হয়।সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নাম জনপ্রিয়।

অভিনেত্রীর  পরিচয় এখনও ভালবাসেন আয়েষা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নামের পাশে লেখা থাকে ‘অভিনেত্রী ও শিক্ষার্থী’। জানিয়েছেন, সুযোগ পেলে ফের কাজ করবেন  বলিউডে। খুব ভাল লাগবে শেখর কপূরের পরিচালনায় অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাজ করতে পারলে।


Find out more: