বলিউড থেকে যেমন স্টার শিল্পীরা বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন,
তেমনি বলিউডের কয়েকটি সিনেমাতেও গেরুয়া রং লাগার ছাপ স্পষ্ট। অনেকটা গেরুয়া
স্তুতিও বলা যায়। বলিউডে ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’, ‘উরি’, ‘মিশন মঙ্গল’-এর মতো ছবি তৈরি
হচ্ছে। এই ছবিগুলির বিষয়-ভাবনা অবশ্যই স্বতন্ত্র, দর্শককে আলাদা মাত্রার ছবি উপহার
দেওয়ার জন্য আদর্শ। কিন্তু প্রতিটি ছবিতেই যদি জোর করে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশস্তি
ঢুকিয়ে দেওয়া দেওয়া হয় ? সে ক্ষেত্রে ছবি
তৈরির আসল উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ হয় বইকি! যেমন সন্দেহ হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
মনমোহন সিংকে নিয়ে তৈরি ‘দি অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ ছবিটি ঘিরে। ‘নিউটন’, ‘আর্টিকল ফিফটিন’-এর মতো কিছু
সাহসী ছবি হলেও, তা সংখ্যায় কম। সব মিলিয়ে বলিউড সিনেমাতে যে গেরুয়া রং লাগছে তা অনেক
ক্ষেত্রেই বোঝা যাচ্ছে। রাজনীতি এবং গ্ল্যামার মিশলে কোনও সমস্যার কথা নয়, তবে
সেটা যদি বিশেষ উদ্দেশ্যে হয় তাহলে প্রশ্ন উঠবে বইকি!
অন্যদিকে, কয়েক বছর আগেই রূপা গঙ্গোপধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রথম জন রাজ্যসভার সাংসদ এবং দ্বিতীয় জন সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে জিতে সংসদে পা দিয়েছেন। যদিও লকেটের রাজনীতিতে আসা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে, পরে দল পরিবর্তন করে এখন তিনি বিজেপির সাংসদ। শুধু তাই নয়, যতদিন যাচ্ছে বিজেপিতে নাম লেখানোর তালিকা কিন্তু দীর্ঘতর হচ্ছে। যার ফলে তৃণমূল যে সেলিব্রিটি কালচার চালু করেছে তার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি এ বিষয়ে কেনও সন্দেহ নেই। তবে এতো গেল টলিউডের কথা। কিন্তু বলিউডেও এখন গেরুয়া রং লেগেছে। কেউ যোগ দিচ্ছেন সরাসরি আবার কেউ বাইরে থেকেই সেই আঁচ নিচ্ছেন। মোদী সরকার দ্বিতীয় বার যে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় এলো তার ফলে সেই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ভোটের আগে দেখা গিয়েছিল অক্ষয় কুমারের মতো তারকা নরেন্দ্র মোদীর ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন। সেখানে রাজনীতি বাদ দিয়ে সব প্রশ্নই ছিল। শুধু মিস্টার খিলাড়িই নন, আমির খান, রণবীর সিংয়ের মতো তারকারাও গেরুয়া হাওয়া গায়ে মাখছেন বলেই অনেকের মত। এমনকী কয়েকমাস আগে বলিউড স্টারদের সেলফি তোলা নিয়ে সরগরম হয়েছিল নেট দুনিয়া। সেই তালিকায় ছিলেন, করণ জোহর, একতা কাপুর, ভিকি কৌশল, রাজকুমার রাও, বরুণ ধাওয়ানের মতো তারকারা। তাঁরা সেলফি তুলেছিলেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। যা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া।