দেশভক্তিমূলক ছবিগুলোতে প্রধানত অক্ষয় কুমারকেই দেখা যায়।এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান দেশের কোন সমস্যা হলে আমরা কিছু কাজের কাজ না করে বাড়িতে বসে টুইট করি।কিন্তু নিজেদের কোন সমস্যা হলেও কি তাই করি?নিজেকে দেশভক্ত প্রমাণ করা বা সার্টিফিকেট দেখানোর কারো কাছে কোন দায়ই তাঁর নেই।

তাঁর মতে দেশের মেয়েদের শুধুমাত্র শিক্ষিকা, ডাক্তার, নার্স এসব হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়।  ইঞ্জিনিয়ার বা বৈজ্ঞানিক শুধুমাত্র পুরুষরা। খুব  অদ্ভুত একটা ধারণা! পাঠ্যপুস্তকেও কৃতী মহিলাদের কাহিনি খুব কম। অথচ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলারা দারুণ কাজ করছেন। তবে আগের চেয়ে সময় বদলেছে। 

তিনি আরও জানিয়েছেন ব্যাক্তি জীবনেও তিনি মহিলা পরিবেষ্টিত। তিনি বলেছেন “ আমি আমার মায়ের সঙ্গে থাকি। আমার স্ত্রী, মেয়ে, শাশুড়ি, ভাগ্নি... বাড়িতে আমি পুরো মহিলা পরিবেষ্টিত। ছেলে এখন লন্ডনে পড়াশোনা করছে। সুতরাং বাড়ির একমাত্র পুরুষ সদস্য হিসেবে আমার অবস্থাটা বুঝতে পারছেন তো? এদের সকলের কথা চুপচাপ শোনাই আমার কাজ”। 

রিয়েলিসটিক ছবির প্রস্তাব নিজের কাছে আসলে তিনি নিজেকে খুব লাকি মনে করেন।রিয়েলিসটিক ছবির প্রযোজক হিসাবেও তিনি কাজ করতে চান।‘মিশন মঙ্গল’ ছবির জন্য তিনি গর্বিত।

বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি জানান “আমার ১৭৫ টাকার একটা ট্রান‌জিস্টার ছিল। সেটা আমার প্রাণ ছিল। সব সময়ে কানে নিয়ে ঘুরতাম। আমার মনে আছে, একবার ট্রানজিস্টারটা আলমারির গায়ে মেরে ভেঙে ফেলে বাবাকে বলেছিলাম, ‘দেখো, এর মধ্যে চুম্বক আছে। তাই এটা আলমারির গায়ে আটকে গেল।’ বাবা গম্ভীর গলায় বললেন, ‘হ্যাঁ সেটা আমি জানি। কিন্তু সেটা প্রমাণ করতে গিয়ে তুমি ট্রানজিস্টারটা ভেঙে ফেললে?’’

বর্তমানে তাঁর হাতেই সবথেকে বেশি ছবি।এইজন্য তিনি গর্ববোধ করেন।প্রযোজক হিসাবেও তিনি অন্য ধরনের ছবি বানাতে চান।তবে তিনি পারিশ্রমিক বাড়াননি বলেই জানান।


Find out more: