ইন্ডাস্ট্রিতে একটা কথা বহুল প্রচলিত যে নায়িকারা কেও কখনও একে অপরের ভালো বন্ধু হয়না।কিন্তু এই কথাকে মিথ্যা প্রমাণ করে মিমি ও নুসরতের বন্ধুত্ব।প্রথম থেকেই তাঁরা খুব ভালো বন্ধু।ভালো সময়ে যেমন একসাথে চুটিয়ে মজা করেন তেমনই কারো খারাপ সময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়াতেও পিছপা হননা।
একইসাথে দুজনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন টলি ইন্ডাস্ট্রি থেকে রাজনীতির আঙ্গিনা পর্যন্ত।দুজনে একসাথে শপথও নিতে গিয়েছিলেন তৃনমূলের সাংসদ হিসাবে।নুসরতের বিয়েতেও মিমিকে সবসময় সাথে দেখা গিয়েছে।
তবে জানা যাচ্ছে, নুসরতের বিয়েতে হাজির ছিলেন মিমির বিশেষ পুরুষবন্ধু মিলি গুলহান কিজিলকায়া ৷ আগেই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল যে, নুসরতের বিয়েতে হাজির থাকতে পারেন মিলি ৷ কিন্তু নুসরতের বিয়ের ছবি হোক বা ভিডিও, কোনও কিছুতেই মিমির বিশেষ বন্ধু মিলিকে সামনে আনা হয়নি ৷ বিয়েতে নিমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিদের স্পষ্ট ছবি ধীরে ধীরে সামনে এসেছে ৷ কিন্তু এ মিলির ছবি সামনে আসেনি ৷ আসলে, তাঁর বিষয়টি যথা সম্ভব সিক্রেট রাখারই চেষ্টা চালানো হয়েছে ৷
নুসরতের বিয়ের কয়েকটি ভিডিওতে মিলির উপস্থিতি চোখে পড়েছে। মিলি তুরস্ক নিবাসীই ৷ আর তাঁর দেশেই বিয়ে ৷ শোনা যাচ্ছে, নুসরতের বিয়েটা তুরস্কের বুকে যাতে সুন্দরভাবে হয় ৷ সেই ব্যবস্থার কিছু দায়িত্ব নাকি মিলির কাঁধেও ছিল ৷ কিন্তু কে এই মিলি? তাঁর সঙ্গে মিমির নাম জড়িয়ে জলঘোলাই বা করা হচ্ছে কেন?
২০১৬ সালে বিরসা দাসগুপ্তর ছবি গ্যাংস্টারএর শুটিং এর সময় পরিচয় হয় তুরস্কে লোকাল লাইন প্রোডিউসর ইলহান কিজল্কির কুড়ি বছরের অত্যন্ত হ্যান্ডসাম ছেলে মিলির সঙ্গে এবং শ্যুটিং শুরু হওয়ার কিছু দিন পর থেকেই নাকি চুটিয়ে প্রেম করতে শুরু করেন সাতাশ বছর বয়সি মিমি।
যদিও আলাপ তার আগে থেকেই তবুও সম্পর্কও দানা বাঁধে গ্যাংস্টারের সময় থেকেই।সেই সময় এই সম্পর্ক নিয়ে বেশ জলঘলা হয়েছিল।শুটিং থেকে ফেরার পরই মিমি ঘনিষ্ঠজনদের ফোন করে ব্রেকআপ এর কথা জানান।