মুক্তির আগে ছবির টিজার প্রকাশিত হতেই বিতর্কের মুখে পড়ল ‘গুমনামী বাবা’। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কে তথ্য বিকৃত না করার আর্জি জানিয়ে ওই বাংলা ছবির পরিচালক ও প্রযোজক সংস্থার কর্ণধারকে আইনজীবীর চিঠি পাঠালেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা দেবব্রত রায়। সেন্সর বোর্ডের কাছেও তাঁর আবেদন, ছবিটিকে যাতে ছাড়পত্র না দেওয়া হয়।
দেবব্রতবাবুর আইনজীবী প্রদীপ কুমার রায় ছবির পরিচালক ও প্রযোজককে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, ‘গুমনামি বাবা’র সঙ্গে নেতাজির কোনও সম্পর্ক নেই। মনোজ মুখোপাধ্যায় কমিশনের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষাতেও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, উত্তরপ্রদেশের ‘গুমনামি বাবা’ আর নেতাজি এক নন, তাঁদের মধ্যে কোনও সম্পর্কও নেই। এমতাবস্থায় নেতাজির নামে ভাবাবেগ উস্কে এমন ছবি দেখানো হলে তথ্য বিকৃতি হবে এবং নেতাজির ‘সম্মানহানি’ হবে বলে ফ ব নেতার অভিযোগ। এর পরেও ছবিটি দেখানো হলে তাঁরা আইনি পথে যেতে দ্বারস্থ হবেন বলে জানানো হয়েছে আইনজীবীর চিঠিতে। দেবব্রতবাবুর বক্তব্য, ‘‘নেতাজি চুপিসাড়ে দেশে ফিরে এসে ‘বাবা’ সেজে রয়ে গেলেন আর সরকার বা কোনও সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা কিছু টের পেল না— এটা কখনও হতে পারে? আমরা ছবির নির্মাতাদের কাছ থেকে জানতে চাই, তাঁরা কি কাল্পনিক কাহিনি দেখাচ্ছেন নাকি এটাকেই ইতিহাস বলে দাবি করছেন?’’
যদিও ছবি এখন মুক্তি পাইনি, তবু এত তৎপরতা কেন প্রশ্ন উঠছে।